কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনি যদি কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে চান তাহলে, এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজকে আর্টিকেলে কলার খোসার মাধ্যমে রূপচর্চা করার বিস্তারিত আলোচনা করব। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কলা হলো মিষ্টি জাতীয় ফল। এছাড়া কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং কলা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর একটি ফল। কলা বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় একটি ফল। যা প্রায় সারা বিশ্বে খাওয়া হয়। তবে আমরা কলা খাওয়ার পর কলার খোসাটি ফেলে দিই। আসুন জেনে নেই এই কলার খোসা দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করা যায়।
পেজ সূচিপত্রঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার উপায় গুলো হলোঃ
- কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
- কলার খোসা দিয়ে মুখের ব্রণ দূরীকরণ
- কলার খোসা দিয়ে মুখের দাগ দূর করার উপায়
- কলার খোসার মাধ্যমে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা
- কলার খোসা দিয়ে দাঁতের যত্ন
- চুলকানি ও দাদ এর জন্য কলার খোসার ব্যবহার
- কলার খোসা দিয়ে হাতে পায়ের যত্ন
- কলার খোসা দিয়ে চুলের যত্ন
- কলার খোসা দিয়ে ঠোঁটের যত্ন
- কলার খোসা দিয়ে বলিরেখা দূর করার উপায়
- পোকামাকড় কামড়ালে কলার খোসার ব্যবহার
- মন্তব্যঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার অনেক উপায় রয়েছে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬। আমরা সাধারণত কলা খেয়ে কলা খোসা ফেলিয়ে দিই। কিন্তু আমরা এটা জানি না যে কলার খোসা দিয়ে কত কিছু করা যায়। কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার অনেক উপায় রয়েছে। তাই কলার খোসা ফেলে না দিয়ে এটাকে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। কেননা, রূপচর্চার কাজে কলার খোসা খুবই উপকারী। কলার খোসা দিয়ে ত্বক এবং হাত পায়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়।
আরও পড়ুনঃ মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়া কলা ক্ষুধা মেটাতে এবং শরীরে শক্তি জোগাতে বিশেষভাবে কাজ করে। কলা আমাদের শরীরের পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাহিদাগুলো পূরণ করে। করাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। রোগা পাতলা স্বাস্থ্য কে সুস্বাস্থ্য হিসেবে গড়ে তুলে। একটি মানুষ যদি নিয়মিত কলা খায় তাহলে তার স্বাস্থ্যের পরিবর্তন হয়। কলা খাওয়ার পর আমরা গলার খোসাটা ফেলে দিই। কলার খোসাটা না ফেলে দিয়ে এর উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কলার খোসা দিয়ে কি কি করা যায় সে সম্পর্কে জানা উচিত। কলাতে যেমন পুষ্টি রয়েছে তেমনি কলার খোসার ও রয়েছে অনেক ব্যবহার। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
কলার খোসা দিয়ে মুখের ব্রণ দূরীকরণ
কলার খোসা দিয়ে মুখে ব্রণ দূর করা যায়। মুখের ব্রণ দূর করার জন্য কলার খোসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখের ব্রণ দূর করা যায়। মুখের মধ্যে হওয়া ছোট ছোট ব্রণগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে দূর করে দেয় কলার খোসার ফেসপ্যাক। কলা থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে এবং খোসার ভেতরের অংশটা দিয়ে ব্রণের ওপর হালকা করে ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ ঘষার পর দেখবেন ব্রুণগুলো কোথায় মিলিয়ে গেছে। এই কাজটি নিয়মিত করতে থাকুন তাহলে দেখবেন আপনার ছোট ছোট ব্রণের সমস্যা গুলো দূর হয়ে যাবে।
এছাড়া ও কলার খোসা দিয়ে বিভিন্ন ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। যেমন মধু ও পাকা কলা এবং এর সাথে আপেল সিডার ভিনেগার ও নিতে পারেন। পাকা কলা ভালো করে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নিন। ব্লেন্ড করা পেস্ট এর মধ্যে মধু ও আপেল সিডার ভিনেগার মিক্স করে নিন। এবার আলতোভাবে গোটা মুখমণ্ডলে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকুন। এরপর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার ত্বকের পরিবর্তন।
পাকা কলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য অবশ্যই কলা সম্পূর্ণ পাকা হতে হবে। কেননা আধা পাকা কলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যাবে না। পাকা কলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক বানানোর জন্য প্রথমে একটি পাকা কলার খোসা নিন,এরপর এক থেকে দুই চামচ চিনি নিন। কলার খোসা ব্লেন্ড করে তার মধ্যে চিনি মিক্স করে নিন। এছাড়া ও এই মিক্স এর মধ্যে এক চামচ ওট মিশ্রিত করতে পারেন। যেটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন।
কলার খোসা দিয়ে আরও বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। যেগুলো ব্যবহার করলে মুখের ব্রণের সমস্যা দূর হবে। কলার খোসা ব্লেন্ড করে তার সাথে এক চামচ হলুদ মিশ্রিত করুন। এটা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনার মুখে ব্রণ দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও পাকা কলার খোসা ব্লেন্ড করে এর সাথে হাফ চামচ বেকিং পাউডার মেশান। এরপর এই ফেসপ্যাকটি আপনার ব্রন যুক্ত ত্বকে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনার ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
কলার খোসা দিয়ে মুখের দাগ দূর করার উপায়
কলার খোসা দিয়ে মুখের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে চলুন জেনে নিই। আমাদের ত্বকের উপর ব্রণের দাগ হয়ে থাকে। যেটা উপর থেকে দেখতে খুবই বাজে লাগে। কিন্তু এই দাগ দূর করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এই উপায় এর মধ্যে একটি হল পাকা কলার খোসা। পাকা কলার খোসা দিয়ে মুখের ব্রণের দাগ দূর করা সম্ভব। আর এজন্য কলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে হবে। কলাটি অবশ্যই পাকা হতে হবে। কেননা আধা পাকা কলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ চুলের যত্নে মেথির উপকারিতা
রূপচর্চার জন্য পাকা কলার খোসা খুবই কার্যকরী উপাদান। এর সাহায্যে ফেসপ্যাক তৈরি করা সম্ভব। পাকা কলার খোসা ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ব্লেন্ড করা খোসার মধ্যে এক চামচ মধু হাফ চামচ ভিনেগার মেশাতে হবে। ব্লেন্ড করা এই ফেস প্যাকটি আপনার দাগ যুক্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন । এই ফেস প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। এভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে মুখের দাগ কিছুটা কমে আসবে। নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের দাগ দূর হয়ে যাবে।
কলার খোসার মাধ্যমে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা
কলার খোসার মাধ্যমে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় রয়েছে। সূর্যের রশি আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে। এছাড়া চোখের উপরে সূর্যের রশ্মি পড়ার কারণে চোখে ওপরের কালো ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যায়। এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পাকা কলার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। পাকা কলার খোসা গোল করে কেটে চোখের উপর কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। এতে চোখের ছোঁপ দাগ চলে যাবে এবং সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করবে।
কলার খোসা ব্লেন্ড করে ব্যবহার করার জন্য সুবিধা হয়। সূর্যের রশিতে বের হওয়ার আগে অবশ্যই কলার খোসা ব্লেন্ডের সাথে মধু মিশিয়ে সেটি ১৫ থেকে ১০ মিনিট মুখে ব্যবহার করুন। এরপর রোদে বের হলেও ত্বকের কোন ক্ষতি করবে না। কলার খোসা তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যেটি সূর্যের রশি থেকে চোখ ও ত্বককে বাঁচিয়ে রাখে। তাই নিয়মিত এটি ব্যবহার করুন। তাহলে অবশ্যই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
কলার খোসা দিয়ে দাঁতের যত্ন
কলার খোসা দিয়ে দাঁতের যত্ন যেভাবে নিতে হয় চলুন সেটা জেনে নেই। আমরা প্রত্যেকটা মানুষই চাই আমাদের দাঁত যেন ঝকঝকে সাদা থাকে। আমাদের দাঁত কে ঝকঝকে সাদা করার জন্য কলার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকে আছেন যারা দাঁত থেকে হলুদ ভাবটা কিছুতেই কমাতে পারেন না। তাদের ক্ষেত্রে বলবো কলার খোসা ব্যবহার করুন তাহলে আপনার দাঁত ঝকঝকে সাদা হয়ে যাবে। প্রথমে আপনি পাকা কলার খোসা নিন।
কলার খোসার ভেতরের অংশটা দিয়ে কিছুক্ষণ আপনার দাঁত মাজুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন, এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার দাঁত ঝকঝকে সাদা হয়ে যাবে। এছাড়া যদি আপনার দাঁতে ব্যথা হয় তাহলেও কলার খোসা ভালোভাবে কাজ করে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনাকে দাঁতে প্রতিনিয়ত পাকা কলার খোসা ঘুষতে হবে। খোসার ভেতরের নরম অংশটুকু দিয়ে প্রতিদিন দাঁতে ঘষুন। এভাবে নিয়মিত যদি দাঁতে ঘষতে থাকেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
চুলকানি ও দাদ এর জন্য কলার খোসার ব্যবহার
কলার খোসা চুলকানি ও দাদ এর জন্য ব্যবহার করা হয়। কলার খোসা দাদের জন্য খুবই ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে। আপনার শরীরে যদি কোন স্থানে দাদ হয়ে থাকে তাহলে সেই স্থানে পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশটুকু ঘষা দিন। এতে করে আপনার সেই স্থানের চুলকানি কমে যাবে এবং দাঁত দ্রুত সেরে যাবে। এভাবে আপনি নিয়মিত করতে থাকুন তাহলে আপনার দাদ সেরে যাবে। এছাড়া আপনার ত্বকে যদি কোথাও পচড়া জাতীয় কিছু হয়,তাহলে সেখানে কলার খোসা ব্লেন্ড করে লাগিয়ে রাখুন।
ব্লেন্ড করা কলার খোসা প্রতিনিয়ত আপনার চুলকানির স্থানে ব্যবহার করতে থাকুন। এছাড়াও কলার খোসাকে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ধৌত করে ফেলুন। এটা থেকে আপনি অনেক উপকার পাবেন। এভাবে যদি নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে থাকা দাদ-পচরা চুলকানি ভালো হয়ে যাবে।
কলার খোসা দিয়ে হাতে পায়ের যত্ন
হাতে পায়ের যত্নের জন্য আমরা অনেকে পার্লারে গিয়ে থাকি। কিন্তু যদি আমরা ঘরোয়া কিছু উপায় জানি তাহলে পার্লারে আর যাওয়ার প্রয়োজন থাকবে না। ঘরোয়া ভাবে পায়ের যত্ন নেওয়ার জন্য কলার খোসা কার্যকরী একটা উপাদান। পাকা কলার খোসা দিয়ে ঘরোয়া ভাবে হাতে পায়ের যত্ন নেওয়া সম্ভব। এইজন্য প্রথমে আপনাকে পা পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আপনার পায়ের ত্বকে কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। এভাবে যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার পায়ের ত্বক মসৃণ এবং পায়ের ময়লাও দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
এছাড়া শীতের সময় অনেকের পা ফেটে যায়। পা ফাটার মতো এরকম সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য কলার খোসা দিয়ে পরিচর্যা করা যেতে পারে। পা ফাটা স্থানে প্রতিনিয়ত পাকা কলার খোসা গোড়ালিতে কিছুক্ষণ ঘষতে থাকুন। ঘসে কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্রতিনিয়ত এভাবে ব্যবহার করলে অবশ্যই উপকার পাবেন। এছাড়াও কলার খোসা ব্লেন্ড করে তার মধ্যে অল্প একটু বেকিং সোডা মিশিয়ে সেটি পায়ে ঘষে নিন। এটি আপনার পা কে নরম ও মসৃণ করবে।
এছাড়াও কলার খোসা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে তার সাথে মধু, দই মিশিয়ে নিন। ব্লেন্ড করা এই পেস্ট আপনার পায়ে এবং গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন। পায়ে ও গোড়ালিতে পেস্ট লাগিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানিতে আপনার পা ধুয়ে ফেলুন। পা ধুয়ে ফেলার পর পা মুছে ফেলুন এবং অলিভ অয়েল তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনারা পা ও গোড়ালি মসৃণ থাকবে।
কলার খোসা দিয়ে চুলের যত্ন
কলার খোসা দিয়ে কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হয় চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। কলাতে যেমন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আইরন ও ভিটামিন এবং কলার খোসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কলার খোসা কার্যকরী হবে ব্যবহার করা যায়। চুলে ব্যবহার করার জন্য কলার খোসার ভেতরের অংশগুলো ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ব্লেন্ড করা পেস্টের সাথে মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এই প্যাকটি চুলে দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মতো চুলে রেখে দিন। এর পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত এক সপ্তাহ পর পর ব্যবহার করলে আপনার চুল সিল্কি হবে এবং চুল পড়া কমে যাবে।
কলার খোসা দিয়ে ঠোঁটের যত্ন
ঠোঁটের যত্নে ও কলার খোসা বেশ উপকারী। ঠোঁটের যত্ন নিতে গলার খোসা ব্যবহার করলে ঠোঁট নরম ও মুসলিম হবে। কলার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে রুক্ষ শুষ্ক ঠোট নিমিষেই মসৃণ করে দেয়। কলার ঘোষ এর ভেতরের অংশ ঠোঁটের উপর আলতো করে ঘষে নিন। এতে ঠোট আরো আর্দ্রতা পাবে। আমরা যখন ঠোঁটে নিব্বাম লাগায় তখন আমাদের ঠোঁট যেমন চকচক করে, তেমনি কলার খোসা ঠোঁটে ঘষলে লিপবাবির মধ্যে কাজ করবে। তাই ঠোঁটের যত্ন নিতে লিপামের বিপরীত হিসেবে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
কলার খোসা দিয়ে বলিরেখা দূর করার উপায়
ত্বকের বলিরেখা দূর করার জন্য কলা অত্যন্ত জরুরি একটি ফল। যাদের ত্বকে বলিরেখা রয়েছে তারা যদি নিয়মিত একটি করে কলা খান তাহলে এমনিতেই কমে যাবে। কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। ত্বকের বলিরেখা বা সুখ রেখা এ সমাধান পেতে কলা খাওয়া এবং কলার খোসার ব্যবহার করা উচিত। কলা খাওয়া ছাড়া এর বাড়তি উপকার পাওয়ার জন্য কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে একটি কলার খোসা নিন। কলার খোসাটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
ব্লেন্ড করা পেস্ট এর মধ্যে একটি ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিন। দুটো পেস্টটি নাড়তে থাকুন। এরপর এই পেস্টটি মুখে মেখে ৫ থেকে ৭ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে আপনার ত্বকের বলিরেখা দূর হয়ে যাবে। ত্বক হয়ে উঠবে অসম্ভব নরম এবং মসৃণ। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করে দেখুন কলার খোসার উপকারিতা বুঝতে পারবেন।
পোকামাকড় কামড়ালে কলার খোসার ব্যবহার
পোকামাকড়ের কামড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলার খোসার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে মশা অনেক কামড়াই। যে কারণে কামড়ানোর স্থানে চুলকানি হতে পারে। চুলকানো স্থানটাতে কলার খোসা ঘসুন । আক্রান্ত স্থানে কলার খোসা ঘষলে দেখবেন যে সেখানে চুলকানো এবং জালাটা ও কমে যাবে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা চলার পথে পিঁপড়াতে কামড় দেয়। হাতে কিংবা পায়ে যখন পিপড়া কামড় দেয় তখন সেই স্থানে জ্বালাপোড়া করে। আক্রান্ত স্থানে কলার খোসা ঘসুন।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
তারপর দেখুন সেখানে জ্বালাপোড়া কমে যাবে এবং ত্বক শীতল হয়ে যাবে। কলার খোসা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মহা ওষুধ হিসেবেও কাজ করছে।শুধু এর সঠিক ব্যবহারগুলো আমাদের জানতে হবে। কলা খেয়ে পাকা কলার খোসা কি আমরা ফেলে না দিয়ে এটা পোকামাকড়ের কামড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারি। এভাবে যদি আমরা দৈনন্দিন জীবনে চলার খোসার ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের বাইরের কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করা লাগবে না।
মন্তব্যঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আজকের পোস্টে আলোচনা করেছি। কিভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো যায় এবং চুলের যত্ন ও পোকামাকড়ের কামড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলার খোসা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কলা খাওয়ার পাশাপাশি এবং কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আমাদের পোস্ট থেকে জেনে নিন। পুরো পোস্টটা পড়ার জন্য এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url