গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের আর্টিকেলে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে কলা হলো অন্যতম। গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকাতে কলা অবশ্যই রাখবেন। কলা ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে থাকে।
কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম। এসব পুষ্টি উপাদান গুলো গর্ভবতী মা ও শিশুর ভ্রণ বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় আপনি কিভাবে কলা খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা পেতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন আজকের পোস্টে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলঃ
- গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কলা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে
- গর্ভাবস্থায় কলা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখে
- গর্ভাবস্থায় কলা বুক জ্বালাপোড়া নিয়ন্ত্রণ করে
- গর্ভাবস্থায় কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- গর্ভাবস্থায় কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- গর্ভাবস্থায় কলা শক্তি ও হজম বৃদ্ধি করে
- গর্ভাবস্থায় কলা পানির ভাসাম্য রক্ষা করে
- গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার সময় সাবধানতা
- উপসংহারঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানুন আজকের এই পোস্টে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও ফাইবার। কলা খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য কলা বেশ উপকারী একটি ফল। কলাতে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার উৎসগুলো গর্ভবতী মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করে। তাছাড়া কলার বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান গুলো মর্নিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
কলা খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের শরীরে এনার্জি সৃষ্টি হয়। গর্ভবতী মায়ের ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করতে কলা বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখে। কলাতে ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। গর্ভাবস্থায় কলা বুক জ্বালাপোড়া কমায়। এছাড়া কলা ওজন বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। এছাড়া কলা গর্ভাবস্থায় বদহজম দূর করে এবং মা ও শিশুর হাড়ের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তারা কলা খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমাতেও পারবেন। তাই কথা বস্তায় নিয়মিত কলা খেয়ে নিজে এবং গর্ভে শিশুকে সুস্থ রাখুন।
গর্ভাবস্থায় কলা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে
গর্ভাবস্থায় কলা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের সহায়তা করে। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলেট অ্যাসিড। যেটি শিশুর সঠিক বিকাশের সহায়ক ভূমিকা রাখে। কলাতে থাকার নিউরাল টিউব ডিফেক্ট শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ডের সঠিক বিকাশ ঘটায়। এছাড়া কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬। যা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কের রাসায়নিক স্নায়ুর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। কলাতে থাকা পটাশিয়াম শিশুর মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের জন্য কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
প্রাকৃতিক শর্করা যা গর্ভবতীর মায়ের শরীরে এনার্জি প্রদান করে। এছাড়া শরীর স্বাস্থ্য কি ভালো রাখে এবং ভ্রূণের বিকাশ করতে সাহায্য করে। কলাতে থাকা অ্যান্ড অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শিশুর মস্তিষ্কের কোষ গুলোকে সুরক্ষিত রাখে এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সঠিক পরিমাণের কলা খাওয়া এবং অতিরিক্ত না খাওয়া। গর্ভাবস্থায় যদি কোন শারীরিক সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভাবস্থায় কলা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখে
গর্ভাবস্থায় কলা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। করাতে এমন কিছু পুষ্টি পাতা রয়েছে যা শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। হিমোগ্লোবিন হলেও রক্তের প্রোটিন যা অক্সিজেন সরবরাহ করে। গর্ভকালীন সময়ে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি সঠিক থাকে তাহলে শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে। যেহেতু কলাতে আইরনের মাত্রা কম থাকে তাই দ্রুতই হিমোগ্লোবিন তৈরি হয়। এজন্য অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের কলা খাওয়া উচিত।
কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি ৬। যারা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। কলাতে থাকা ভিটামিন বি ৬ হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কলাতে রয়েছে সলেট যা রক্তের লোহিত কণিকা তৈরি করে এবং গর্ভাবস্থায় কে উন্নত করে। ফলেটের অভাবে গর্ভবতী মায়ের শরীরে অ্যানিমিয়া হতে পারে কি ঠিক করার অবস্থায় খুবই ক্ষতিকারক। ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরে আইরন ও রক্তের হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। আইরন রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তকে শোষিত করে এবং রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় কলা বুক জ্বালাপোড়া নিয়ন্ত্রণ করে
গর্ভাবস্থায় কলা নিয়মিত খেলে বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর হয়। গর্ভকালীন সময়ে বুক জ্বালাপোড়া করা একটি সাধারন সমস্যা। এটি সাধারণত হরমোন পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে। এর প্রতিকার হিসেবে কলা একটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কলেজে থাকা প্রাকৃতিক ক্ষারীয় পদার্থ যা পেটের এসিড নিঃসরণ করতে সাহায্য করে এবং বুক জ্বালা পোড়া কমায়। কলাতে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান যেটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মত কাজ করে। গর্ভকালীন সময়ে গ্যাস্টিকের সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূর করে।
এছাড়া কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজম শক্তিকে সহজ করে এবং পেটে অতিরিক্ত চাপ কমায়। কলা পেটের বিভিন্ন এসিডিটির সমস্যা কে দূরে রাখে। নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে পাকস্থলী ভালো থাকে। কলা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় যেমন সকালে বা বিকালে হালকা ক্ষুধা লাগলে সেক্ষেত্রে আপনি একটি কলা খেতে পারেন। গর্ভকালীন সময়ে যেকোনো সময় ক্ষুধা লাগবে। হালকা খাবার হিসেবে কলা খেতে পারেন। আপনার যদি খাবার খাওয়ার পর বুক জ্বালাপোড়া করে তাহলে একটি কলা খান। এতে করে অনেক বেশি আরাম পাবেন।
গর্ভাবস্থায় কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
গর্ভাবস্থায় কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কেননা কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম যার রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। গর্ভকালীন সময়ের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে মা এবং শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেননা উচ্চ রক্তচাপ গর্ভকালীন সময়ে মারাত্মক ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কলা হলো পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল। আর কলা খাওয়ার ফলে শরীরে পটাশিয়াম সৃষ্টি হয়। পটাশিয়ামের কারণে শরীরে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দেয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বাড়ার কারণ হলো শরীরের সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি হওয়া।
কলা খাওয়ার ফলে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। রক্তনালিকের শিথিল রাখে ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম রক্তনালীকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপ কমায়। কলাতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীর কার্যক্ষমতা এবং রক্ত সঞ্চালন কে উন্নত করার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কয়েকটি উপায়ে কলা খাওয়া যেতে পারে। যেমন প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুইটি কলা খাওয়া। হালকা ক্ষুধা লাগলে এবং ফলের সালাত হিসেবে কলা খেতে পারেন। তবে যদি আপনার শরীরে ডায়াবেটিস থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
গর্ভাবস্থায় কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
গর্ভাবস্থায় কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কেননা গর্ভাবস্থায় শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হরমোন পরিবর্তন। এছাড়া শরীরে পানির ঘাটতি এবং আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কলা কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কেননা কলাতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া কলা নিয়মিত খেলে শরীরে পানি ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে।কলাতে থাকা ফাইবার শরীরে পানি ধরে রেখে বল কে নরম করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় রক্তপাত বন্ধের উপায় জানুন
যার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে যায়। গর্ভকালীন সময়ে হজম শক্তি কমে যেতে পারে। তবে কলাতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যার কারনে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে। এ সময় কয়েকটি নিয়মে কলা খেতে পারেন যেমন প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুইটি কলা খেতে পারেন। সালাত হিসেবে বা হালকা খিধা লাগলে একটি কলা খান। পাকা কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে গ্যাস বা পেট ফাঁপা হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এবং গ্যাস বা পেক্ষাপার সমস্যা যদি দীর্ঘতম হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভাবস্থায় কলা শক্তি ও হজম বৃদ্ধি করে
গর্ভাবস্থায় কলা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। গর্ভকালীন সময়ে শরীরে বাড়তি শক্তি এবং পুষ্টি চাহিদা প্রয়োজন হয়। এছাড়া হজম শক্তিকে সহজ রাখা গুরুত্বপূর্ণ কেননা হরমোন পরিবর্তন এবং শিশুর বৃদ্ধিতে মায়ের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন হতে পারে। কলাতে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা যা শরীরের তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি প্রদান করে এবং ক্লান্তি দূর করে। কলাতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে এলার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় হালকা ক্ষুধায় কলা খেলে দ্রুত শক্তি যোগান দেয়।
কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম যা মাংসপেশির কার্যক্ষমতা বাড়ায়। কলাতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার যা অন্ত্রের গতিশীলতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কলাতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলে। গর্ভাবস্থায় শরীরে অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কলাতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম অন্ত্রের কার্যক্রম উন্নত করতে সহায়তা করে। কলাতে যে প্রাকৃতিক ক্ষারীয় রয়েছে তা পাকিস্তানের অতিরিক্ত এসিডকে কমিয়ে হজম প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে। সকালের নাস্তার অংশ হিসেবে এবং হালকা ক্ষুধায় ও সালাদের কলা মিশিয়ে খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কলা পানির ভারসাম্য রক্ষা করে
গর্ভাবস্থায় কলা পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। কলা হলো পটাশিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল। কলা খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় শরীরে পানির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গর্ভকালীন সময়ে শরীরে পানির ভারসাম্য মা ও শিশু সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কলাতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়াম এবং পানির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কোষ এবং রক্তে সঠিক পরিমাণে পানি যোগান দেয়। গর্ভাবস্থায় ঘাম বা বমির মাধ্যমে শরীর থেকে ইলেক্ট্রো লাইট পদার্থ বের হয়ে যায়। এই ঘাটতিতে একমাত্র কলা পূরণ করতে পারে এবং শরীরে পানির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
কলাতে থাকা পটাশিয়াম এবং ফাইবার শরীরে প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও অনেক গর্ভবতী মহিলা আছেন যারা পানির সমস্যায় ভোগেন। যার কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন হাত পা ফুলে যাওয়া। এটি হতে পারে পানি ঘাটতির কারণে। গর্ভাবস্থায় এই সমস্যাকে দূর করার জন্য নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত। কলা শরীরে পানির সঠিক প্রবাহ সৃষ্টি করে। সঠিকভাবে কলা থেকে উপকার পাওয়ার জন্য প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কলা খেতে পারেন। এছাড়া কলা সালাদের সাথে মিশেও খাওয়া যায়। কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক কথা অবলম্বন করে খাবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার সময় সাবধানতা
গর্ভকালীন সময়ে কলা খাওয়া যেমন পুষ্টিকর তেমনি কলা খাওয়ার সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত খাবার হতে পারে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। যেটি গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই এক্ষেত্রে প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কলা খাওয়া উচিত। কলা খাবার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন কলা অতিরিক্ত পাকা না হয়। কেননা অতিরিক্ত পাকা কলায় সরকার আর পরিমাণ বেশি থাকে।
অতিরিক্ত পাকা কলায় সরকারের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে ওজন বৃদ্ধি বা রক্তে শর্করা পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই অবশ্যই হালকা পাকা কলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যাদের শরীরে লেটেক্স এলার্জি রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কলা খাবেন। কেননা কলাতে রয়েছে লেটেক্স জাতীয় প্রোটিন। যার শরীরে এলার্জি বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া যেসব মহিলাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত পটাশিয়াম গ্রহণ করা থেকে দূরে থাকুন। কিংবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী কলা খান। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কলা খাওয়ার পর পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা হয়।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা
তাই এক্ষেত্রে খাওয়ার পর পর ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রাতে অতিরিক্ত কলা খাবেন না, হালকা খাবার খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় গলা সঠিক নিয়মে আর সঠিক উপায়ে খাবেন। যেমন সকালে নাস্তায় একটি কলা খান। বিভিন্ন ফলমূল বা সালাদের সাথে কিংবা দইয়ের সাথে কলা মিশিয়ে খেতে পারেন। অনেক সময় ভারী খাবারের পরিবর্তে স্নাক্স হিসেবে কলা খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় যদি আপনার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
উপসংহারঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আজকের পোস্টে। অবস্থায় কলা খাওয়া অনেক বেশি পুষ্টি। গর্ভাবস্থায় বউ শিশুর জন্য বেশ উপকারী হিসেবে কলা কার্যকরী। কলাতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান গুলো গর্ভের মা ও শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। আশা করি আজকের পোস্ট থেকে গর্ভবতী মায়েরা কলা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিভিন্ন তথ্যপূর্ণ পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url