সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৫
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় নিয়ে কি আপনি চিন্তিত? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য।সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সরকারি নিয়ম অনুসরন করে পার্সপোট ভিসা করে কানাডা যাওয়া যায়।
কানাডা হল প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্নের দেশ। সেই স্বপ্নের দেশে প্রত্যেকটা মানুষই চাই চাকরি,জীবনযাপন এবং পড়ালেখার জন্য যেতে। এই সবকিছুর জন্য কানাডা হল একটি জনপ্রিয় দেশ। আসুন এবার বিস্তারিত জেনে নেই যে কিভাবে কানাডা যাওয়া যায়।
পেজ সূচিপত্রঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় গুলো হলোঃ
- সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
- কানাডা ওয়ার্ক ভিসা ২০২৫
- কানাডা যাওয়ার ইকোনমিক ইমিগ্রেন্টস
- কানাডা যাওয়ার ফ্যামিলি ক্লাস
- সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার স্টুডেন্ট ভিসা
- কানাডা যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা
- বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার খরচ কত লাগে
- বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার সহজ উপায়
- কানাডা যাওয়ার বয়স এবং কি কি কাগজ লাগে
- মন্তব্যঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চাই। তাই আসুন সরকারিভাবে কানাডা কিভাবে যেতে হয় সেই সম্পর্কে জেনে নিই। যারা কানাডা নিজে থেকে যেতে চান বেসরকারিভাবে ভিসা তৈরি করে তাদের জন্য খরচ একটু বেশিই পড়ে যায়। কিন্তু যদি সরকারি ভাবে যাওয়া যায় তাহলে খরচ অনেক কম লাগে। আর সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য অনেক রকমের উপায় আছে। যেগুলো আমরা না জানার কারণে সরকারিভাবে যেতে পারি না। এমন অনেক কিছু উপায় রয়েছে।
কানাডা হল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। যেখানে মানুষকে বিভিন্ন কর্মস্থল এবং বসবাস করা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি কানাডা নাগরিক হিসেবে একই সঙ্গে অন্য দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করার অধিকার রাখেন। কানাডায় পড়াশোনার জন্য তরফ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়। তাছাড়া সেখানে পড়াশোনার জন্য যেসব পাবলিক স্কুলগুলো রয়েছে সেগুলোতে১৮ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা ফ্রি। কানাডা দেশে অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
আপনি যদি কানাডার নতুন বাসিন্দা হন এবং আপনার যদি ভাষাগত দুর্বলতা থাকে তাহলে সেই দেশের সরকার আপনার জন্য ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেবে। এছাড়াও যারা কানাডায় গিয়ে ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য রয়েছে সুবিশাল সুযোগ। সেটি হলো কানাডিয়ান ডলার ২ লক্ষ ৫০ হাজার লোনের ব্যবস্থা রয়েছে। আর সেটি আপনি খুব সুন্দর ভাবে নির্দ্বিধায় নিতে পারবেন। আবার এমন অনেকে আছেন যারা চাকরির জন্য কানাডায় যান। তাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। চাকরি অবস্থায় আপনি যদি অসুস্থ হয়ে কোন কাজ করতে না পারেন তাহলে আপনাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।
কানাডা ওয়ার্ক ভিসা ২০২৫
কানাডা ওয়ার্ক ভিসা ২০২৫ এই ভিসা ছাড়া বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কানাডা যেতে হলে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন। কেননা কাজের জন্য স্বপ্নের এই দেশে প্রতিটা মানুষই যেতে চায়। আর তাই কানাডা যাওয়ার জন্য কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন। এই ভিসা পেতে অবশ্যই আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য আপনি ভিজিট করতে পারেন। সেসব ওয়েবসাইট থেকে আবেদন প্রক্রিয়া জেনে আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করতে পারবেন।
আপনি যদি গুগলে LMIA (Labor Market Impact Assessment ) এটি লিখে সার্চ করেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের জব খুঁজে পাবেন। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনার প্রোফাইল খুলে চাকরির আবেদন করতে পারবেন। এরপর সেই দেশের সরকার বা কর্তৃপক্ষ যদি আপনাকে উপযুক্ত মনে করে তাহলে জব অফার লেটার পাঠাবে। এরপর আপনি সেই দেশের সরকারের কাছ থেকে LMIA সংগ্রহ করবেন। কারণ কানাডা দেশের কোম্পানি বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করতে পারে না। কর্মী নিয়োগ করতে হলে অবশ্যই সে দেশে সরকারকে প্রমাণ দেখাতে হয়। প্রমাণ স্বরূপ দেখাতে হবে যে সেখানে কাজের জন্য শ্রমিকের অভাব রয়েছে।
কানাডা যাওয়ার ইকোনমিক ইমিগ্রেন্টস
কানাডা যাওয়ার জন্য ইকোনমিক ইমিগ্রেন্টস এর প্রয়োজন রয়েছে। ইকোনমিক ইমিগ্রেশন এর বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মধ্যে সাব- ক্যাটাগরি রয়েছে ৭ টি । সাতটি সাব ক্যাটাগরির মধ্যে অন্যতম হলো ফেডারেল স্কিল্ড ট্রেড, কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাস, নমিনি ক্লাস। এ সকলের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় প্রোগ্রাম হল এক্সপ্রেস এন্ট্রি। এক্ষেত্রে চাকরির আবেদন করার জন্য এক্সপ্রেস এন্ট্রি থেকে ফুল হিসেবে পি আর সুযোগ রয়েছে। এখানে আপনাকে চাকর আবেদন করার জন্য গ্রাজুয়েট এবং দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আই এল টি এস কমপক্ষে ৬.৫ হতে হবে। আপনার যোগ্যতা অনুসারে যদি আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কানাডা সরকার অগ্রাধিকার পোষন করবে। তবে কানাড়া সরকার অগ্রাধিকার এর ওপর ভিত্তি করে দশ টি পেশাজীবিদের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।এ এ সকল দশটি পেশা ছাড়া ও অন্যান্য দক্ষ পেশাজীবিরা ও আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করার জন্য ন্যূনতম এইচএসসি পাস এবং এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
কানাডা যাওয়ার ফ্যামিলি ক্লাস
কানাডা যাওয়ার জন্য ফ্যামিলি ক্লাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এই পোস্টে। কানাডা যাওয়ার বিভিন্ন উপায় গুলোর মধ্যে একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ফ্যামিলি ক্লাস।আপনার পরিবার থেকে যদি কেউ কানাডায় বসবাস করে তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার পরিবারের সদস্যের আমন্ত্রণে কানাডায় গিয়ে বসবাস করতে পারবেন। তবে আপনার পরিবারের যে সদস্য আপনাকে আমন্ত্রণ করবে তাকে অবশ্যই সেই দেশের নাগরিক হতে হবে। এরপর যাকে সে ব্যক্তি আমন্ত্রণ করবে তাকে অবশ্যই ২২ বছরের কম বয়সী হতে হবে।
এরপর আপনি আপনার বাবা মা কিংবা দাদা-দাদি এদের নিয়ে যেতে পারবেন সুপার ভিসা ক্যাটাগরির মাধ্যমে। এছাড়া আর একটি সুন্দর এবং সহজ উপায় রয়েছে। আর সেটি হলো কানাডার স্থায়ী নাগরিকের সাথে বিয়ে করা। আপনি যদি কোন কানাডিয়ান নাগরিককে বিয়ে করেন এবং সেখানকার স্থায়ী হতে চান তাহলে আপনার দুই বছর সময় লাগবে। তবে যদি আপনি অনিয়মের আশ্রয় নেন তাহলে আপনার বিভিন্ন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তাই সবকিছু ঠিকঠাক করে এবং সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই কানাডায় যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার স্টুডেন্ট ভিসা
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য আপনি স্টুডেন্ট ভিসা করতে পারেন।আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং যদি কানাডায় যেতে চান,তাহলে আপনাকে অবশ্যই কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে একটি কাজ করতে হবে। আর সেটি হল ভিসার জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে কানাডা নির্দিষ্ট কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে হবে। এর পরেই আপনি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়
আপনি যদি সেখানকার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেয়ে থাকেন অথবা ভর্তি হতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন। আপনি স্টুডেন্ট হিসেবে যদি আপনার আইইএলটিএস স্কোর ৬ হয় তাহলে কানাডিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন। কয়েক বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ১০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন পড়তো। কিন্তু এখন সেটা আইইএলটিএস এর স্কোর ওপর ভিত্তি করে খুব সহজেই কানাডিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়।
কানাডা যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা
কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে যেমন জানা প্রয়োজন, তেমনি কানাডা যেতে হলে কেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে সেটাও জানা প্রয়োজন। কানাডায় এমন একটি দেশ যেটা প্রতিটা মানুষেরই স্বপ্নের দেশ। সেই স্বপ্নের দেশে প্রত্যেকটা মানুষের যেতে চায়। তবে স্বপ্নের দেশ কানাডায় যাওয়ার জন্য অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। কানাডা দেশ ছাড়া অন্যান্য যে কোন দেশে যেতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে না। মানুষ যে কোন কাজে বা শিক্ষার জন্য অথবা ঘোরার জন্য কানাডা দেশে থাকেন।
আপনি যদি কানাডা দেশে চাকরি করার জন্য যান তাহলে আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে যেতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। এক্ষেত্রে অনেক জায়গায় রয়েছে যেগুলা থেকে এসএসসি পাশে ও যাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি আইইএলটিএস কোর্স করে সার্টিফিকেট অর্জন করে কানাডা দেশে যেতে পারেন। এছাড়া আপনি যে কর্মের জন্য যাবেন সে কাজের জন্য অবশ্যই আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। পরিশেষে আপনার যদি এসব দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই কানাডা যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার খরচ কত লাগে
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হয় সে সম্পর্কে আমরা কেউই সঠিকভাবে জানি না। তাই আসুন বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে সঠিকভাবে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জেনে নিই। কানাডা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। যেমন স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, কৃষি ভিসা ইত্যাদি ভিসার মাধ্যমে কানাডায় যাওয়া যায়। এসব ভিসার জন্য বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়ে থাকে। কোনটাই কম আবার কোনটাই বেশিও হতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর জন্য খরচ ৬ থেকে ৯ লক্ষ টাকা।
এই বিষয়টি যদি আপনি যেকোনো এজেন্সির মাধ্যমে করে থাকেন তাহলে এর থেকেও অনেক বেশি খরচ হতে পারে। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই স্টুডেন্ট ভিসা যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে করেন তাহলে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। এছাড়া কৃষি ভিসার জন্য ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। এ সকল ভিসার জন্য আপনার সদস্য সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে খরচের পরিমাণটা ও বেশি হবে।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার সহজ উপায়
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এই পোস্টে। অনেকে আছেন যারা বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে সহজ উপায়ে কানাডা যেতে চান। তারা খুবই সহজে ভিন্ন ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কানাডা যাওয়ার ভিসা আবেদন করতে হবে। আপনি এখানে কয়েকটি ভিসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর তা হলো স্টুডেন্ট ভিসা, কৃষি ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদি ভিসা আবেদন করার মাধ্যমে কানাডা যেতে পারবেন। এরমধ্যে যে কোন একটা ভিসা তার খরচ নির্ধারণ করে আবেদন করতে পারবেন।
যখন আপনি বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট থেকে কানাডা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন সেখানে ইমিগ্রেশন আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে পারে। তবে এমনও হতে পারে যে আপনাকে কোন প্রশ্ন ছাড়াই যেতে দিবে। সেখানে আপনার ভিসা স্ক্যান করে দেখবে। এরপর আপনাকে কানাডায় প্রবেশ করার অনুমতি দিবে। বাংলাদেশ থেকে কানাডায় যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই টিকিটের দাম জেনে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে টিকিটের দাম এয়ারলাইন্সের ভিন্ন রকম হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই গুগল থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকিটের মূল্য জেনে নিতে পারেন। অবশেষে আপনি যদি এই সব কিছু জেনে রাখেন তাহলে খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে পারবেন।
কানাডা যাওয়ার বয়স এবং কি কি কাগজ লাগে
কানাডা যাওয়ার জন্য বয়স এবং যেসব কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এই পোস্টে। কানাডা যাওয়ার জন্য অনেকে আছেন যারা বয়সের কারণে যেতে পারেন না। যাদের বয়স ৪০ পার হয়ে গেছে তারা কানাডায় যেতে পারেন না। তবে আপনি যদি পড়াশোনা শেষ করে এবং চাকরির অভিজ্ঞতা রাখেন তাহলে কানাডায় চাকরির জন্য আবেদন করে যেতে পারবেন। চাকরি করার জন্য কানাডায় ৪০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত ভিসার আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনার অবশ্যই চাকরির দক্ষতা থাকতে হবে।
এছাড়া আপনি স্টুডেন্ট ভিসাতেও যেতে পারবেন। স্টুডেন্ট ভিসায় আঠারো বছর বয়স থেকে যাওয়া যায়। আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট বয়সসীমার মধ্যে কানাডা যেতে হবে আর নয় তো যেতে পারবেন না। কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র লাগতে পারে। প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট ও ভিসা করতে হবে। আর কানাডা যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ও ভিসা হল অন্যতম কাগজ। আর এই পাসপোর্ট ভিসা তৈরির জন্য আপনার আরও বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।
আপনি যদি চাকরির জন্য যেতে চান তাহলে আপনার চাকরির দক্ষতার কাগজ, শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজ ইত্যাদি লাগবে। এছাড়া আপনাকে আইইএলটিএস ইংরেজি ভাষার কোর্স এর কাগজ ও নিতে হবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ডসহ লাগবে। আপনি পাসপোর্ট ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এইসব কাগজগুলো রেডি করে রাখতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনি অবশ্যই আপনার কাগজপত্র দেখে নিবেন। যদি আপনার সমস্ত কাগজ ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি এবং সহজে ভিসা পেয়ে যাবেন।
মন্তব্যঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কিভাবে আপনি বাংলাদেশ থেকে কানাডায় যাবেন, কোন কোন উপায়ে যাদের এবং কি কি ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। আপনার বয়স এবং কাগজপত্র কি কি লাগতে পারে,কানাডায় যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও খরচ কি পরিমান হতে পারে এইসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সহজ উপায়ে কানাডা যেতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য খুবই উপকৃত হবে। আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url