সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের আর্টিকেলে। সরকারিভাবে অনেক দেশে যাওয়া যায়। তবে সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে গেলে অনেক কম খরচ হয়। আমাদের দেশ থেকে সরকারিভাবে কয়েকটি দেশে যাওয়া সম্ভব। সেসব দেশে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং কাজের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য খুব বেশি খরচ হয় না। এক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ রয়েছে তাই সরকারি অর্থের মাধ্যমেই এসব কাজ করা সম্ভব। তাই চলুন জেনে নেই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া এবং কোন কোন দেশে যাওয়া সম্ভব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় গুলো হলোঃ
- সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
- সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে যাওয়া যায়
- সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা লাগে
- সরকারিভাবে কম খরচে যেসব দেশে যাওয়া যায়
- সরকারিভাবে বিদেশ যেতে নিবন্ধন করার উপায়
- সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ সুবিধা
- সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার পদক্ষেপ সমূহ
- সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কি কি কাগজ প্রয়োজন
- সরকারিভাবে বিদেশ যেতে যে ধরনের ভিসা পাওয়া যায়
- মন্তব্যঃ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব আজকের পোস্টে। আমাদের দেশ থেকে অনেকে আছেন যারা সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক। সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনাকে অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা যদি আপনি কোন ভুল পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন তাহলে আপনি এবং আপনার পরিবার বিপদের সম্মুখে পড়তে পারেন। আবার এমন অনেকে আছেন যারা দালালের খপ্পরে পড়েন। যারা দালালের মাধ্যমে বিদেশে যান তারা অনেক হয়রানির শিকার হন। এজন্য আপনি যদি সরকারি ভাবে বিদেশে যান তাহলে এরকম কোন সমস্যায় আপনাকে পড়তে হবে না।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনাকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করার জন্য আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উপরে হতে হবে। আপনার বয়স সীমা ২৫ থেকে ৪৫ বছর হতে হবে। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই ছয় মাসের বৈধ পাসপোর্ট এবং রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে আপনি আবেদন করতে পারবেন। সরকারি এজেন্সি বা সরকারি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে বিদেশ গেলে আপনার কম খরচ হবে। যেহেতু এটা সরকারি উদ্যোগ সে কারণে সরকার কর্তৃক কিছু খরচ বহন করা হবে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৫
এছাড়া আপনি সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চাইলে, একটি অ্যাপ্সে আপনার একাউন্ট খুলতে পারেন। একাউন্ট খোলার অ্যাপসটি হলো "Ami Probashi"। এই অ্যাপসে আপনার অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনার পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে সাবমিট করতে পারেন। এরপর আপনি কোন দেশে যাবেন সেই দেশের আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করুন।Ami Probashi অ্যাপের মাধ্যমে আপনি চাকরি এবং বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর আবেদন করতে পারবেন। এখানে কোম্পানি ম্যানেজমেন্ট যদি আপনাকে নির্বাচন করে তাহলে সেখানে ইন্টারভিউতে পাস করার পর আপনি বিদেশ ভ্রমন করতে পারবেন।
সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে যেসব দেশে যাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দেশ হলোঃ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ভারত, কুয়েত, রোমানিয়া, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, ওমানসহ প্রায় ১৭২ টি দেশে শ্রমিক ভিসায় যাওয়া যায়। এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন 'Ami probashi 'অ্যাপের মাধ্যমে।বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে অনেক দেশে যাওয়া যায়। বিদেশ ভ্রমণে বা কাজের ক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারিভাবে ভিন্ন কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য তিনটি প্রক্রিয়া আছে। যেমন
- চাকুরীজীবি হিসেবে
- ছাত্র হিসেবে (স্কলারশিপ পাওয়া)
- শ্রমিক হিসেবে
এছাড়া সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে যাওয়া যায়। চাকরিজীবী, স্কলারশিপ পাওয়া ছাত্র এবং শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন ভিসায় বাংলাদেশ থেকে বিদেশ যাওয়া সম্ভব। যারা শ্রমিক হিসেবে বিদায় যেতে চান তারা যে দেশে যাবেন সে দেশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে নিবেন। কেননা এমন অনেক দালাল চক্র আছে যেগুলোর ফাঁদে পড়তে পারেন। এছাড়া যদি শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি যেতে চান তাহলে মেধা যোগ্যতা এবং ভালো ফলাফল এর মাধ্যমে সরকারিভাবে স্কলারশীপে বিদেশি লেখাপড়া করার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে সরকারিভাবে যেতে পারবেন সেসব দেশের নাম গুলো হলোঃ
- কানাডা
- সুইজারল্যান্ড
- সৌদি আরব
- রোমানিয়া
- ভারত
- যুক্তরাষ্ট্র
- ওমান
- কুয়েত
- সিঙ্গাপুর
- মালদ্বীপ
- কাতার
- দক্ষিণ কোরিয়া
- ডেনমার্ক
- অস্ট্রেলিয়া
- মালয়েশিয়া
- লিবিয়া
- শ্রীলংকা
- ইরাক
- লেবানন
- বাহারাইন
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা লাগে
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে খুব বেশি পরিমাণে টাকা লাগেনা। কেননা সরকারি মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার বেশিরভাগ খরচ করলে বহন করে থাকে। আর আপনি যদি দালাল চক্রের মাধ্যমে জান তাহলে আপনার ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। আর তাই আপনি যদি যেকোনো দেশে ওয়ার্ড পারমিট ভিসা নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে সরকারিভাবে সেই দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করুন। সরকারি ভাবে যদি আপনি বেরিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার এক থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
পাসপোর্ট করার সময় পাসপোর্ট ফি, ভিসা আবেদন ফ্রি, বিমানের টিকেট, মেডিকেল রিপোর্ট, ভিসা প্রসেসিং ফি ইত্যাদি খরচ দিয়ে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনার ভোট ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। বাংলাদেশ থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ দালালের খপ্পরে পড়ে থাকেন। তারা কখনো দালালের মাধ্যমে আবেদন করবেন না। কেননা দালালের মাধ্যমে গেলে অনেক বেশি টাকা লেগে যাবে। তাই আপনি সরকারিভাবে নিবন্ধন করবেন এবং সরকারিভাবে বিদেশ যাবেন।
সরকারিভাবে কম খরচে যেসব দেশে যাওয়া যায়
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে হলে আপনি খুব কম খরচে যেতে পারবেন। আর তাই আপনি কোন দেশে যেতে চান সেই দেশটি অবশ্যই বাছাই করতে হবে। আপনি যেতে পারবেন সে দেশের নাম গুলো হল : সৌদি আরব, ভারত, মালয়েশিয়া, পোল্যান্ড,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশসমূহে যেতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে যে দেশে যাবেন সেই দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করুন। এরপর আপনি সরকারিভাবে নিবন্ধন করে সে দেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করুন।
- মালয়েশিয়াঃ মালয়েশিয়ায় এমন একটি দেশ যেখানে তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী এবং ভিসা পাওয়ার জন্য সহজ। যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে কম খরচে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ। এমনকি এখানে ট্রেনিং এবং কর্মশালারও অনেক সুযোগ রয়েছে।
- জাপানঃ সরকারিভাবে জাপানের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার অনেক বড় সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। তারা সরকারি কর্মচারীদের জন্য রয়েছে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ। এমনকি সেখানে স্কলারশিপের যেসব শিক্ষার্থীরা যাতায়াত থেকে শুরু করে থাকবে তাদের সকল খরচ বহন করবে সরকার।
- রাশিয়াঃ রাশিয়ার দেশে শিক্ষা এবং থাকার খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সেখানে বিভিন্ন টেকনিক্যাল ট্রেনিং এবং শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে উচ্চশিক্ষার সুযোগ।
- দক্ষিণ কোরিয়াঃ দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছেস সরকারি স্কলারশিপ যা শিক্ষার্থীদের জন্য থাকা এবং পড়াশোনা ও যাতায়াত পুরোটাই স্কলারশিপ এর মধ্যে। সেখানে রয়েছে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রোগ্রাম।
- সৌদি আরবঃ সৌদি আরবে রয়েছে সরকারিভাবে শিক্ষাবৃত্তি এবং ইসলামিক গবেষণার অন্যতম সুযোগ। ধর্মীয় ও শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে জন্য রয়েছে স্কলারশিপ এবং সরকারি কর্মসূচি।
- জার্মানিঃ জার্মানিতে রয়েছে উচ্চ শিক্ষার জন্য সম্পূর্ণ স্কলারশিপ যা সরকারি প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।
- তুরস্কঃ তুরস্কের স্কলারশিপ দের থাকা খাওয়া এবং ভ্রমণ ব্যয় করা সম্পূর্ণ সরকারের। সেখানে সরকারি ডেলিগেট এবং প্রশিক্ষণের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা স্কলারশিপ এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়।
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে নিবন্ধন করার উপায়
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য অবশ্যই নিবন্ধন করা প্রয়োজন। দক্ষ অদক্ষ এবং পেশাজীবী নারী ও পুরুষ উভয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। যারা সরকারিভাবে বিদেশ যেতে আগ্রহে তারা মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। সরকারি পরিসংখ্যান ব্যুরো সংক্রান্ত তথ্য থেকে জানানো হয়েছে যে কোন রকম দালাল বা মধ্যস্বত্ব ভোগী ছাড়া ৬১ জেলায় নিবন্ধন কাজ শুরু। আর এগুলো সরকারি মাধ্যমে হয়ে থাকে। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে নিবন্ধন করার জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কিছু নিবন্ধন প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হলোঃ
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
- স্টুডেন্ট ভিসার নিবন্ধনঃ স্টুডেন্ট ভিসার নিবন্ধন করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে যেসব নিবন্ধনকৃত তথ্য দেওয়া হয় সেগুলো দেখুন। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আবেদন করুন। যেসব বাছাই প্রক্রিয়া করুন শুরু হবে সেখানে অংশ নিন এবং লিখিত বা মৌখিক সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হন। স্কলারশিপ পর্টাল থেকে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
- কমনওয়েলথ স্কলারশিপঃ commonwealthscholarships.org
- চিন স্কলারশিপ :www.campuschina.org
- সরকারি কর্মচারীদের নিবন্ধনঃ প্রশাসনিক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনুমোদনকৃত নির্ধারিত ফরম পূরণ করুন। সরকারের সহযোগিতায় ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া এবং নিবন্ধন সম্পন্ন করুন।
- কর্মসংস্থানের জন্য নিবন্ধনঃ বাংলাদেশের সাথে অনুমোদিত রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে রাখুন। ওয়েবসাইট :www.bmet.gov.bd আপনার কাজের জন্য প্রশিক্ষণ নিন এবং চুক্তি সম্পাদন করুন।
- চিকিৎসার জন্য নিবন্ধনঃ সরকারিভাবে বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য সরকারি কর্মকতা দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিন এবং চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত দেশে আবেদন করুন।
- নিবন্ধন করার জন্য সাধারণ পদ্ধতিঃ নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন। সেগুলো হল : বৈধ পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র, কাজের অভিজ্ঞতার সনদ, ভিসার জন্য ফি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ। সরকারি ওয়েবসাইট বা অনলাইনে আবেদন করুন। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করুন। সরকারি মাধ্যমে যদি আপনার আবেদন অনুমোদন হয় তাহলে পরবর্তী ধাপ অনুযায়ী চলুন। এরপর টিকিট ভিসা এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে নিন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ সুবিধা
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এক্ষেত্রে সবথেকে বড় সুবিধা হল আপনি কম খরচে বিদেশ যেতে পারবেন। আপনি যদি সরকারিভাবে কম খরচে বিদেশে যান তাহলে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়বেন না। সরকারি হবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সেগুলো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- আপনার যদি কাজের উপর দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি নিজেই নিজের কাজ সিলেক্ট করে নিতে পারবেন।
- আপনার যে কাজে দক্ষতা রয়েছে সে কাজের উপর নির্ভর করে দেশ নির্বাচন করে যেতে পারবেন।
- আপনি যে কাজের জন্য যাবেন যে কোম্পানিতে সেখানকার সকল রুলস আগেই জানতে পারবেন।
- এছাড়া সরকারিভাবেই আপনি বিদেশ ভ্রমণের যাতায়াতের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবেন।
- আপনি যদি সেই দেশে অসুস্থ কিংবা অন্য কোন সমস্যায় পড়ে তাহলে আপনার দায়িত্ব সেই দেশের সরকার নিবে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার পদক্ষেপ সমূহ
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিদেশ যাওয়ার পূর্বে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় সেগুলো সব ব্যক্তিদের জন্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি এসব পদক্ষেপগুলো ভালোভাবে জেনে রাখেন তাহলে আপনার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সেগুলো হলোঃ
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়
- বিদেশ গিয়ে আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করবেন সে কোম্পানি সম্পর্কে খোঁজখবর এবং কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন।
- বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই বৈধ এবং নিরাপদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন।
- সেখানে যাওয়ার জন্য আপনি লাভ ক্ষতির হিসাব করে নিন।
- আপনি যে দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই দেশের অবশ্যই ভাষা শিখুন।
- আপনার পাসপোর্ট আপনার কাছে রাখবেন এবং ভিসা সংরক্ষণ করবেন।
- সরকারিভাবে অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার হতে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিন।
- আপনি সেখানকার ডি ই এম ও অফিস ডাটাবেজে নিবন্ধন করুন।
- আপনার স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করুন।
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সরকারি বিদেশ বহির্গমন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করুন।
- বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি ব্যাংকে প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট খুলুন।
- আপনারা সকল ডকুমেন্টের তিন থেকে চার সেট কপি রাখুন।
- আপনার সামনে যে চুক্তিপত্র দেওয়া হবে সেটি ভালোভাবে দেখে শুনে তারপর স্বাক্ষর করুন।
- পরিশেষে আপনি সকল রুলস মেনে আপনার বিদেশে যাত্রা শুরু করুন।
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কি কি কাগজ প্রয়োজন
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কিছু কাগজ প্রয়োজন। কারণ বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সকল ডকুমেন্ট বা কাগজপত্রগুলোই হলো আসল। যেগুলো ছাড়া আপনি বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন না। আপনি বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে আপনার বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। যেমন শিক্ষা চাকরি প্রশিক্ষণ বা চিকিৎসা। আপনারা যে সব ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো হলোঃ
- ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- পাসপোর্ট সাইজের ৩ থেকে ৬ কপি ছবি
- আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেট
- জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি
- যাতায়াত টিকিট, ফ্লাইট বুকিং বা টিকিটের ছবি ( যদি প্রয়োজন হয়)
- ভিসা আবেদনের ফরম
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- আইইএলটিএস স্কোর ( ভাষাগত দক্ষতার সনদ )
- চাকরির চুক্তিপত্র ( স্বাক্ষরিত চুক্তি )
- ভোটার আইডি কার্ড
- আপনার কর্ম দক্ষতার সনদ
- আপনারা শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে যে ধরনের ভিসা পাওয়া যায়
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে বেশ কয়েক ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। আপনি সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ভিসার মাধ্যমে যাবেন সেটি আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। আপনি যে দেশে যাবেন সে দেশের স্টুডেন্ট ভিসা কিংবা কর্ম দক্ষতা ভিসা ইত্যাদি ভিসার মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন। তবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে এমন কিছু ভিসা রয়েছে যেগুলো আপনি খুব কম খরচের মধ্যেই যেতে পারবেন। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনি যে ধরনের ভিসা পাবেন সেগুলো হলোঃ
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ওয়ার্কার ভিসা
- প্রশিক্ষণ ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- চিকিৎসা ভিসা
- কনফারেন্স ভিসা
- রিসার্চ ভিসা
- শ্রমিক ভিসা
- ট্রানজিট ভিসা
- ডিপ্লোমা কোর্স ভিসা
মন্তব্যঃ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আজকের পোস্টে। সরকারিভাবে আপনি কিভাবে বিদেশ যাবেন এবং বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার খরচ কত টাকা পড়বে এইসব সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনি সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে অথবা নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিভিন্ন দালাল চক্রের মাধ্যম থেকে দূরে থাকবেন। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার জন্য উপকৃত হবে। বিদেশ ভ্রমণ গায়েড সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url