শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজেকর আর্টিকেলে। শীতকাল মানে কনকনে ঠান্ডা, যা ত্বকের জন্য খুব বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অন্যান্য শীত প্রধান দেশের মতো বাংলাদেশে পড়াশোনা করলেও, শীতকালে বাংলাদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি হয়ে যায়।
বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলের অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ে। এই শীত মাঝে মাঝে হার কাপানো প্রবাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যা ত্বকের রুক্ষতা ও ফাটতে শুরু করে দেয়, যা বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আসুন শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য বিস্তারিত জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় গুলো হলোঃ
- শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
- ঠান্ডা পানিতে গোসল না করা
- শীতে ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
- শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
- শীতকালে গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করুন
- শীতে ত্বক ভালো রাখতে ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন
- শীতকালে ত্বকের যত্নে পর্যাপ্ত পানি পান করুন
- শীতকালে ত্বকের শুষ্কতায় সমাধান
- শীতের রোদে ত্বক পুড়ে গেলে তার সমাধান
- শীতকালে ত্বকের নানান এলার্জি
- শেষ কথাঃ শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বলতে গেলে, আমাদের ত্বকে পুরো বছরই বিভিন্ন সমস্যা লেগে থাকে। তবে শীতে একটু বেশি সমস্যা দেখা দেয়। অন্যান্য সময়ের থেকে শীতকালে আবহাওয়ার তারতম্য একটু পরিবর্তন হওয়ার কারণে আমাদের ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়। অন্য সময়ের থেকে শীতকালে আমাদের ত্বকের একটু বেশি যত্ন নিতে হয়। শীত আসার সাথে সাথেই আমাদের ত্বক জানিয়ে দেয় যে কি সমস্যা হচ্ছে।
শীতকালে নিজের ত্বককে সুরক্ষিত রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এবং ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। আমাদের ত্বকের জন্য আমরা সারা বছরই যত্ন নিয়ে থাকি। কিন্তু সারা বছরের মধ্যে শীতকালে একটু বেশি যত্ন নিতে হয়। শীতকালে ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বক শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তাই শীতে ত্বক ভালো রাখার জন্য আসুন আমরা জেনে নেই কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
ঠান্ডা পানিতে গোসল না করা
শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিতে গোসল না করাই উত্তম। তবে অনেকে আছেন যারা ঠান্ডা পানিতে গোসল করে অভ্যস্ত। কিন্তু এই অভ্যাসকে ট্যাগ করতে হবে। কারণ ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে আমাদের ত্বক আরো বেশি রুক্ষ শুষ্ক ও টানটান হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ঠান্ডা পানিকে বর্জন করায় উত্তম হবে। তবে আমরা গোসলের জন্য অবশ্যই হালকা গরম পানি বেছে নিতে পারি।
শীতকালে গরম পানিতে গোসল করতে আমাদের সবারই ভালো লাগে। কিন্তু তাই বলে বেশি গরম পানিতে গোসল করা উচিত নয়। শীতকালে গোসল করার জন্য পানিটা কুসুম কুসুম গরম করে নিতে হবে। কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের কোন সমস্যা হবে না। এই শীতকালে গোসলের জন্য হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে আপনার ত্বকের তাপমাত্রা ও ত্বক ভালো থাকবে।
শীতে ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
শীতে ত্বকের যত্নের ব্যবহার করা প্রয়োজন। শীতকালে আমাদের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। এইজন্য আমাদের ত্বকে হাইড্রেশন কমে যাই। যার কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। শীতকাল আসার সাথে সাথে ত্বকের টানটান অনুভূতি হয়। তাই ত্বককে ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। কারণ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে আমাদের শরীরের ত্বকে সঠিকভাবে হাইড্রেশন যোগান দেয়।
আরও পরুনঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
প্রতিদিন দুই বেলা নিয়ম করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক ভালো থাকে। ময়েশ্চারাইজার ক্রিম আমাদের আশেপাশের যেকোনো শপিং কসমেটিক্স দোকানে গেলে এটি কিনতে পাওয়া যাবে। এছাড়াও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে খাঁটি নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল ময়েশ্চারাইজার মতো করে কাজ করে। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করতে থাকুন তাহলে শীতকালের ত্বক ভালো থাকবে।
শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। কারণ সানস্ক্রিন ত্বককে রোদ থেকে প্রটেকশন দেয়। শীতকালে আপনি যদি বাইরে বের হন তাহলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করেই বের হবেন। কারণ সূর্যের রসি থেকে সানস্ক্রিন আপনার ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করবে। ত্বকে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে রোদের তাপটা সরাসরি ত্বকে পড়তে পারে না। তাই ত্বকের ক্ষতি না করে ত্বককে ভালো রাখে।
ত্বকে ব্যবহার করার জন্য hpf যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। যেসব সানস্ক্রিন গুলো উন্নত মানের সেসব সানস্ক্রিন গুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। উন্নত মানের সানস্ক্রিন চেনার উপায় হলঃ সানস্ক্রিন ক্রয় করার সময় অবশ্যই উৎপাদন তালিকা দেখে কিনবেন। ৫০ প্লাস এস পি এফ যুক্ত সানস্ক্রিন কিনবেন। এই সানস্ক্রিন টা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং ত্বককে ভালো ও সুস্থ রাখে।
শীতকালে গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করুন
শীতকালে গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করুন, কারণ এমনিতেই শীতকালে তক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে থাকে। তার ওপর যদি যেকোনো সাবান ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের আরো বেশি ক্ষতি হবে। অন্য কোন সাবান ব্যবহার করলে ত্বক আরো বেশি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই এমন কোন সাবান ব্যবহার করুন যেটা ত্বককে ভালো রাখবে এবং শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।
এইজন্য আপনি শীতকালে গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন। কারণ গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ত্বককে শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বক নরম ও মসৃণ রাখে। গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। এই শীতকালে ত্বকের জন্য গ্লিসারিন একটি উপকারী প্রোডাক্ট। এমনিতে যদি আমরা শীতের সময় গ্লিসারিন ব্যবহার করি তাহলে আমাদের ত্বক অনেক নরম ও মসৃণ থাকে। রুক্ষ শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
শীতে ত্বক ভালো রাখতে ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন
শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বলতে গেলে, শীতে ত্বক ভালো রাখতে ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন, শীতকালে যেহেতু ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়, সেহেতু ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন পড়ে। ত্বককে ভালো রাখার জন্য ঘরোয়া কিছু ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত। এমন অনেক ফেসপ্যাক রয়েছে যেগুলো ঘরোয়া ভাবে তৈরি করে ব্যবহার করা যায়। ঘরোয়া কিছু ফেসপ্যাক রয়েছে যেমন দুধের সর, মধু, বেসন, কাঁচা হলুদ, হলুদের মিশ্রণ, পাকা কলা, কলার খোসা, কমলার খোসা ইত্যাদি দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা যায়।
- দুধের সরঃ দুধের সর এমন একটা জিনিস যা ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়। দুধের সর আলতো করে গোটা মুখমণ্ডলে লাগাতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
- মধুঃ মধু আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মধু ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে।
- বেসন ও কাঁচা হলুদঃ বেসন ও কাঁচা হলুদ একসঙ্গে মিশ্রিত করে গোসলের আগে ত্বকে ব্যবহার করবেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ত্বকে ম্যাসেজ করে ধুয়ে ফেলবেন।
- হলুদের মিশ্রণঃ হলুদের মিশ্রণ ও ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বকে ভালো রাখে। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
- পাকা কলাঃ রূপচর্চায় পাকা কলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর শীতকালে তো সেটি মহা ওষুধের মত কাজ করে। পাকা কলা সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করুন। তারপর আপনি নিজেই ত্বকের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
- কলার খোসাঃ পাকা কলা যেমন ত্বকের জন্য উপযোগী তেমনি কলার খোসা ও ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। কলার খোসা ব্লেন্ড করে সপ্তাহে দুই তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন।
- কমলার খোসাঃ কমলার খোসা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কমলা যেমন আমাদের শরীরের জন্য উপকারী, ঠিক তেমনি কমলার খোসা আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। কমলার খোসা ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে মুখে আলতো করে পাঁচ থেকে দশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
শীতকালে ত্বকের যত্নে পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শীতকালে ত্বকের যত্নে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। শীতের কারণে আমরা অনেকে আছি যারা অল্প একটু পানি খেয়ে দিন পার করে দিই। শরীরের পর্যাপ্ত পানি ঘাটতি থাকার কারণে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। শীতের সময় বছরের অন্যান্য সময়ের মতোই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। কিন্তু আপনি যদি শীত বলে পানি কম পান করেন তাহলে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। পানি কম খেলে শরীরের ওপরে এবং ভেতরে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
আরও পরুনঃ চুলের যত্নে মেথির উপকারিতা
শীতের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে তক রুক্ষ ও শুষ্ক হবে না। পানি পান করলে আমাদের শরীর ভেতর থেকে আদ্র থাকে। প্রতিটা মানুষের উচিত শীতকালে ও দিনে কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। শরীরকে সুস্থ রাখতে ও ত্বককে ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে দেখবেন যে ত্বকের আর কোন সমস্যা হবে না। ত্বক নরম, মসৃণ ও আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
শীতকালে ত্বকের শুষ্কতায় সমাধান
শীতকালে ত্বকের শুষ্কতায় সমাধানও রয়েছে। এর সমাধান পেতে হলে মনোযোগ দিয়ে পুরো লেখাটি পড়ুন। শীতকালের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাবে এটা স্বাভাবিক। আবার হাত পা ঠোট ফেটে যাওয়া ও ঠোঁটের চামড়া ওঠা এগুলো খুবই সাধারণ বিষয়। কারণ শীতকালের আবহাওয়াটা এমনই যে তৈলাক্ত ত্বক ও রুক্ষ সূক্ষ্ম হয়ে যায়। যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত থাকে তাদের ত্বকের জন্যেও শীতকালে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়।
ত্বকে সুস্থতার জন্য সমাধান হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা, ত্বককে আদ্র করে রাখা। তৈলাক্ত ত্বকে যদি আদ্রতা বজায় থাকে তাহলে তেল যুক্ত আছে এমন ভারী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। আর এই জন্য প্রতিদিন দুই বেলা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বক হলে সেক্ষেত্রে হালকা ময়শ্চারাইজার নিতে পারেন। শরীর ও মুখমন্ডল পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
এছাড়াও গ্লিসারিন ও গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। যখনই ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক লাগবে তখনই এই মিশ্রিত গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। আর প্রতিদিন হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করবেন। মন না চাইলেও প্রতিদিন গোসল করার চেষ্টা করুন। দিনে অন্তত কয়েকবার মুখ ধোয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে ত্বকের উপর পানির ছোঁয়া পড়বে এবং ত্বকে আদ্রতা ফিরে আসবে।
শীতের রোদে ত্বক পুড়ে গেলে তার সমাধান
শীতের রোদে ত্বক পুড়ে গেলে তার সমাধান পেতে এই পোস্টটি অনুসরণ করুন। শীতকালে আমরা অনেকেই ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য রোদে আরাম করে বসি। এ সময়ে রোদ আমাদের ত্বকে সরাসরি এসে পড়ার কারণে ত্বক পুড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। সূর্যের রশ্মি সরাসরি ত্বকে প্রভাব ফেলে। আর তাই বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগিয়ে বের হবেন। তাহলে ত্বকে সরাসরি সূর্যের রশ্মি পড়লেও কোন ক্ষতি হবে না।
যদিও ত্বক পুড়ে যায় তাহলে, ত্বকে ডাবের পানি ব্যবহার করুন। ডাবের পানি ব্যবহার করলে ত্বকের পোড়া ভাব কমে যাবে। এছাড়াও ডাবের পানির সাথে বেসন মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এমনকি আরো ঘরোয়াভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারবেন। যেমন আলুর রস, বেসন, মধু, দুধ ইত্যাদি মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে ত্বক ভালো থাকবে।
শীতকালে ত্বকের নানান এলার্জি
শীতকালে ত্বকের নানান এলার্জি সমস্যা হয়ে থাকে। শীতকালে যেমন এলার্জি সমস্যা বাড়ে তেমনি এটি প্রতিরোধ করার উপায় রয়েছে। শীতের সময় এলার্জির মধ্যে বিশেষ করে উইন্টার রাস বেশি হয়ে থাকে। এটি শরীরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। এটি ছাড়া ও শীতের সময় শরীরে আরো বিভিন্ন এলার্জি দেখা দেয়। যেমন সুরিয়া সিস, একজিমা, দাউদ ইত্যাদি। শীতের সময় পায়ের ও হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে একজিমা ও ফুসকুড়ির মত পুরু হয়ে স্থানটি শক্ত হয়। এই ফুসকুড়ির মাঝে চুলকানি ও হয়ে থাকে। আবার এমন অনেকজনের হয় মুখ ভর্তি গুটি গুটি। এসব হওয়ার কারণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন উলের পোশাক পরার কারণে দাদ হয়ে থাকে। আবার তোকে যে সব জায়গা গুলোতে ভাজ পরে সেসব জায়গায় একটা স্তর পরে। এসব স্তরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়।
শীতকালে এলার্জির পরিমাণ অনেক বেশি হলে সমস্যা হয়। এই সমস্যার পাশাপাশি সমাধান রয়েছে। এই সময়ে বেশি বেশি ভিটামিন ই, ডি ও সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন রাশের জন্য ত্বকে জলপাই তেল ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও গ্লিসারিন আর তেল পরিমাণ মতো মিশিয়ে শরীরে লাগাতে পারেন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করে নিন। এভাবে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করলে এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
শেষ কথাঃ শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আজকের এই পোষ্টের শীতকালে ত্বকের যে সব সমস্যা হয় এবং কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে হয় সেইসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতে চান ঘরোয়া ভাবে তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url