সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় সে সম্পর্কে আপনার জানা উচিত যদি আপনি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে চান বা মোটা হতে চান। মোটা হওয়ার অনেক রকম উপায় রয়েছে। ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
অনেকে মোটা হওয়ার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকে। ওজন বাড়াতে ওষুধের প্রয়োজন নেই ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন বাড়ানো সম্ভব। মোটা হওয়ার জন্য খাবারের তালিকায় অবশ্যই খেজুর, বাদাম, পানি, লাল মাংস, দুধ ডিম ইত্যাদি।এবার আসুন আমরা জেনে নিই মোটা হওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়ার উপায় গুলো হলোঃ
- সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
- সকালে খালি পেটে যা খেলে ওজন বাড়ে
- সকালে খালি পেটে যেসব খেলে মোটা হওয়া যায় না
- খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায়
- কোন ফল খেলে মোটা হওয়া যায়
- স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সকালের নাস্তা
- খালি পেটে কি খেলে মোটা হতে কম সময় লাগে
- সকালে খালি পেটে কয়টি ডিম খেলে মোটা হওয়া যায়
- সকালে খালি পেটে খেয়ে মোটা হওয়ার ফর্মুলা
- শেষ কথাঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় সম্পর্কে জানতে হলে, সকালে খালি পেটে চিনি যুক্ত খাবার, দুধ, ডিম, বাদাম, কলা, কিসমিস, খেজুর ইত্যাদি খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে থাকে। এসব খাবারে নানা রকম পুষ্টি সমৃদ্ধ যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং শরীর মোটা করতে সহায়তা করে। আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টি এসব খাবারের মধ্যেই রয়েছে।
এর মধ্যে বিশেষ করে দুধ এবং ডিম এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ডিমে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে কিন্তু ডিম খাওয়ার ফলে সারাদিন বেশি ক্ষুধা নাও লাগতে পারে তাই ওজন বাড়াতে গিয়ে ওজন আরো কমতে পারে। এজন্য আপনাকে অল্প অল্প করে বেশি করে খাবার খেতে হবে। সকালে খালি পেটে এসব খাবার খাওয়ার পরেও মোটা না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেক বেশি।
কারণ মানুষের ওজন বৃদ্ধি হওয়া বা মোটা হওয়ার পিছনে অনেক গুনে বিষয় কাজ করে সেগুলো যেমনঃ আপনি যদি সারা জীবন অলসভাবে জীবন যাপন করেন তাহলে আপনার মোটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়াও মানুষ জীনগত কারণেও মোটা হয়ে যায়। আবার ডায়াবেটিস ক্যান্সার এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ ওজন কমে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
তাই আপনি মোটা হওয়ার জন্য যায় খান না কেন যদি আপনার এ সকল রোগ থাকে তাহলে আপনি কখনোই মোটা নাও হতে পারেন। সকালে নাস্তায় যদি বাদাম পেঁপে তরমুজ দুধ ডিম কলা খেজুর কিসমিস ইত্যাদি সকল জাতীয় খাবার রাখেন তাহলে আপনি মোটা মোটা না হলে ভয়ের কোন কারণ নেই কারণ এসব খাবার থেকে আপনার শরীরের বাকি পুষ্টিগুণ চাহিদাগুলো পূরণ হয়ে যেতে পারে। এমন অনেক পুষ্টিগুণ চাহিদা পূরণ করবে যেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। খাবারের আরও বিস্তারিত জেনে নিন :
- শাকসবজি ও ফলমূলঃ আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে আপনি বেশি বেশি ক্যালরি সম্পন্ন শাকসবজি ও ফলমূল খান। শাকসবজি ও ফলমনিত খান তাহলে এক মাসের মধ্যে আপনার শরীর মোটা তাজা হয়ে উঠবে।
- ভাত ও রুটিঃ সরকারের প্রধান উৎস হলো ভাত ও রুটি। তাই আপনার খাবারের মেনুতে প্রতিদিন দুই বেলা ভাত রুটি রাখুন। এছাড়া আপনি এগুলোর পাশাপাশি ভাতের মার ও খেতে পারেন কারণ ভাতের মারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও স্টার্স থাকে।
- আলুঃ আলু এমন একটি সবজি যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ফাইবার উদ্ভিদ প্রোটিন খনিজ লবণ ভিটামিন এবং কমপ্লেক্স সুগার থাকে। আপনি যদি প্রতিদিন দুই বেলা সিদ্ধ আলু খান তাহলে পার্থক্যটা নিজের চোখেই দেখতে পারবেন।
- মাংসঃ প্রোটিনের উৎস বলা হয় মাংস কে। মাংস খেলে খুব তাড়াতাড়ি মোটা হওয়া যায় কিন্তু বেশি পরিমাণ মাংস খাওয়া আবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই আপনি প্রতিদিন ৮৫ গ্রাম বা তিন থেকে চার টুকরা মাংস খেতে পারেন। এছাড়া ওজন বাড়াতে কলিজাও খেতে পারেন।
- দুধ ও মধুঃ দুধ ও মধু সাধারণত ঘুমের আগে খেতে হয়। এই দুটি খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালোরি থাকে। এই দুটি খাবার ওজন বাড়াতে খুবই উপযোগী। আপনি যদি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস ঘন দুধের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খান তাহলে আপনার পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
- ডিমঃ প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো ডিম। ডিম অত্যন্ত সহজলভ্য ও ভরসাযোগ্য একটি উপাদান। আপনি যদি প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টা ডিম সিদ্ধ করে শুধু সাদা অংশ খান তাহলে খুবই অল্প সময়ে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
- পাস্তা ও নুডুলসঃ পাস্তা ও নুডুলস এর প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালরি থাকে। মজাদার এই খাবার দুটি দিয়ে আপনি আপনার ওজন খুব সহজে বাড়াতে পারবেন। আপনি যদি পাঁচটা ও নুডুলস লাভার হন তাহলে তো কোন কথাই নেই। তবে অবশ্যই এই খাবার দুইটি পরিমাণ মতো খাবেন। কারণ অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। দৈনিক একবার খেলেই হয়।
- ঘি এবং মাখনঃ ওজন বাড়ানোর জন্য স্নেহ জাতীয় খাবারের মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো ঘি এবং মাখন। ঘি ও মাখন স্নেহ জাতীয় খাবারের মধ্যে সবথেকে অন্যতম একটি খাবার। এই দুটি খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে যা আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাবে।
- বাদাম ও ছোলাঃ বাদামো ছোলা শরীরে ওজন বাড়ানোর জন্য অন্যতম একটি খাবার। এ খাবারটি যেমন আপনার ওজন বাড়ায় তেমনি আপনার চেহারা কেউ করে তুলে সুন্দর। এই খাওয়া দুটি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পরিমাণ মতো পানি নিয়ে ভিজিয়ে রাখবেন এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি সহ বাদাম ও ছোলা খাবেন। তাহলে এক মাসের মধ্যে আপনারা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
- ফলের রসঃ আপনারা কি জানেন ফলের রস ওজন বাড়াতে কতটা সক্ষম? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজ থেকে নিয়মিত ফলের রস খাওয়া শুরু করে দিন। সকাল বিকাল এক গ্লাস করে ফলের রস খান আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠুন।
আরও পড়ুনঃ চুলের যত্নে মেথির উপকারিতা
সকালে খালি পেটে যা খেলে ওজন বাড়ে
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে এই অনেক কঠিন একটি প্রশ্ন। এমন কয়েকটি খাবার আছে যা সকালে খালি পেটে খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। অনেকে আছে যখন তাদের ওজন বাড়াতে চায় তখন তাদের সকালে খালি পেটে কি খাবে সেটা তারা জানতেই পারেনা। এজন্য তারা জানতে চায় যে কি খাইলে মোটা হওয়া যায়। তাই তাদের জন্য কয়েকটি খাবার তালিকা তৈরি করা হলো। এগুলো অনুসরণ করলে সহজে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবারঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে সকালের নাস্তা মিষ্টি খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। মিষ্টি ও চিনি যুক্ত খাবার খেলে শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার হয়। শরীরের প্রায় ১৬ ভাগ ক্যালরি জমা হয়।
- বাদাম ও কিসমিসঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক মুঠ বাদাম ও কিসমিস মিশ্রণ করে খেলে শরীরে অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিনযুক্ত হয়ে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বাঁধাবো কিসমিস হজম শক্তিতে সাহায্য করে। এতদিন আপনার খাবার তালিকা সকালের নাস্তায় বাদামও কিসমিস রাখতে পারেন।
- কলাঃ সকালে খালি পেটে কলা খেলে ওজন বাড়ে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬ ও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন সকালের নাস্তা একটি বা দুইটি করে কলা রাখতে পারেন।
- খেজুরঃ প্রতিদিন সকালের নাস্তার সাথে কয়েকটি খেজুর খেলে মোটা হওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। খেজুরের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। খেজুরে রয়েছে ফাইবার ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সাহায্য করে। দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- দুধঃ দুধ শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী একটি খাবার। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম যা শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া দুধে রয়েছে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। তাই সকালে নাস্তা অবশ্যই খাবারের সাথে এক গ্লাস দুধ রাখা উচিত।
- ডিমঃ ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সকালের নাস্তা ডিম খাওয়া যেতে পারে। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ২, ভিটামিন এ, মিনারেল এবং আরো অনেক উপাদান জাতক ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই খাবার বেলায় সকালের নাস্তা তে অবশ্যই একটি করে ডিম রাখা উচিত। তবে ডিম খাওয়ার ফলে পেট ভরে যায় সারাদিন ক্ষিধা লাগে না তাই ওজন বৃদ্ধি হওয়ার চাইতে ওজন কমে যেতে পারে, তাই ঘনঘন খাবার খেতে হবে।
- তরমুজঃ এতে রয়েছে প্রায় ৯০% পানি। যে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফাইবার থাকায় এটি খাবার হজমের সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তরমুজ পেট পরিষ্কার রাখে এবং সকালের নাস্তা তরমুজ রাখা উচিত।
সকালে খালি পেটে যেসব খেলে মোটা হওয়া সম্ভব না
সকালে খালি পেটে রুটি, পরোটা, পাউরুটি, চা, বেকারির নাস্তা, ঝাল নাস্তা, কাঁচা সবজি ইত্যাদি খেলে মোটা হওয়া যাবে না এবং শরীরে তেমন উপকার হবে না। সকালের নাস্তা এসব খাবার রাখা উচিত নয়। এসব খাবারে অধিক পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায় না। এসব খাবার শরীরের জন্য উপকারী নয়। আর তাই আমাদের এমন খাবার বাঁচতে হবে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
আর সকালে খালি পেটে এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যেগুলো খেলে শরীর মোটা হয়। এসব খাবার যদি আমরা প্রতিনিয়ত খেতে থাকি তাহলে আমাদের শরীর মোটা হবে না। তাছাড়া ও শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি রয়ে যাবে।তাই সকালেচিনি যুক্ত খাবার প্রস্তুত রাখা উচিত। যেগুলো খেলে শরীর ও স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। চিনি মুক্ত খাবার শরীরকে কখনো মোটা করতে পারে না বরং শরীরকে পাতলা করে দেয়। তাই আমাদের সবারই উচিত সকালের নাস্তা চিনি যুক্ত খাবার রাখা।
আরও পড়ুনঃ ত্বকের মেলানিন কমানোর উপায়
খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায়
খেজুর খেলে মোটা হওয়া যায় আর তাই সকালের নাস্তায় একের অধিক খেজুর খাওয়া উচিত। সাধারণত একটি বড় খেজুরের বা ৩০ গ্রাম খেজুরে প্রায় ৯০ গ্রাম ক্যালরি থাকে। খেজুরে ক্যালরির পরিমাণ বেশি হওয়ার জন্য এটি শরীরে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। তবে দিনে একটিবার দুটি খেজুর খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। খেজুর খেতে হলে এক থেকে দুইটির অধিক খেজুর খেতে হবে।
এছাড়াও ইসলামিক মতে, মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ নেয়ামতের একটি অংশ হল 'খেজুর '। খেজুর খুবই উপকারী একটি ফল। হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )হতে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজোয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিশ ও জাদু তার ক্ষতি করতে পারবে না। তাহলে ভাবুন খেজুর কত উপকারী একটি ফল। খেজুর খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণ শক্তি যোগান হয় তাই খেলোয়াড়রা শরীর চর্চা করার আগে ও পরে খেজুর খেয়ে থাকেন।
চারটি খেজুর থেকে আমরা অনেক ক্যালরি এক গ্রাম প্রোটিন এবং ১৩ গ্রাম ক্যালসিয়াম ২.৩ গ্রাম ফাইভার এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টিকর উপাদান পেয়ে থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর আপনি যদি খেজুর খেয়ে শরীর মোটা করতে চান তাহলে অবশ্যই খেজুরের সাথে দুধ অথবা শসা মিশিয়ে খান বা মধু মিশিয়ে খান। যেটা আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
কোন ফল খেলে মোটা হওয়া যায়
যেসব ফল খেলে মোটা হওয়া যায় সেসব ফল আমাদের অবশ্যই খাওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি আমরা মোটা হতে চাই তাহলে। যেমন- কলা, আনারস,, আম, পেঁপে বিভিন্ন ফলের জুস ইত্যাদি খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলাতে রয়েছে ১৫০ পরিমাণ ক্যালরি যা থাকার কারণে দিনে একটি বেশি কলা খাওয়ার ফলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পায়। আম ও আনারস এই দুটি ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ক্যালোরি থাকার কারণে এগুলো শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ উপাদান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
এমন অনেক ধরনের ফলমূল রয়েছে। যেগুলো খেলে মানুষ তাড়াতাড়ি মোটা হয়ে যায়। যে সকল মানুষ মোটা হতে চায় সে সকল মানুষের সেই সব ফলমূল খাওয়া উচিত। নিম্নে সেসব ফলের নাম গুলো হলোঃ
- আম ও লিচু
- টাকা পেঁপে
- কাঁচা কলা
- কলা ও কাঁঠাল
- মিষ্টি কুমড়া
- মিষ্টি আলু ও নাশপাতি
- কিসমিস ও বাদাম
- খেজুর ও শশা
- কাজুবাদাম
- আপেল ও আঙ্গুর
আশা করি এ সকল ফলমূল খেলে আপনি খুব সহজেই মোটা হতে পারবেন। কারণ এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে শর্করা আমিষ প্রোটিন ও ক্যালরি। যা আপনার শরীরের বিভিন্ন উপা পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণের সহায়তা করে থাকে। এছাড়া এসব খাবার খেলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার ফল পাবেন।
আরও পড়ুনঃ মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সকালের নাস্তা
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সকালে অবশ্যই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নাস্তা খাওয়া উচিত। সকালের খাবার আইটি মেয়ে আমাদের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরি। কেননা সকালে আমরা কি খাবার খেলাম সেটার উপর নির্ভর করে আমাদের সারাদিনের শরীর স্বাস্থ্য কেমন থাকবে। সকালে যদি আমরা পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খায় তাহলে সারাটা দিন অনেক ভালো ভাবে কাটে এবং শরীরের পুষ্টিগুণ চাহিদাগুলো পূরণ হয়ে যায়। পুষ্টি সমৃদ্ধ সকালের নাস্তাগুলো হলঃ
- দুধ ও ডিম
- কলা ও খেজুর
- বাদাম ও মধু
- তরমুজ
আপনি যদি মোটা হতে চান এবং আপনার শরীর স্বাস্থ্য যদি ভালো রাখতে চান, সহজে রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে সকালে নাস্তায় উপরের উল্লেখিত এই খাবারগুলো রাখতে পারেন। এগুলোর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের ফলমূল রাখা উচিত। মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে বেশি বেশি খাবার খেতে হবে। খাবারের তালিকায় উচ্চ ক্যালোরি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। মোটা হওয়ার চাইতে শরীরের ওজন স্বাভাবিক থাকা অনেক বেশি ভালো।
খালি পেটে কি খেলে মোটা হতে কম সময় লাগে
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় সে সম্পর্কে জানার জন্য,অবশ্যই আপনাকে কি খেলে মোটা কম সময়ে মোটা হওয়া যায় সেই সম্পর্কে জানতে হবে। দিনে অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি খাবার গ্রহণ করলে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিন থেকে ছয় মাস পর কত কেজি বৃদ্ধি হবে সেটা নিশ্চিত ভাবে বলা মুশকিল। সকালে খালি পেটে এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো খেলে এত অল্প সময়ে মোটা হওয়া যায়।
সকালে খালি পেটে বিভিন্ন খাবার রয়েছে যেগুলো পুষ্টি সমৃদ্ধ ও পুষ্টিগুণ রয়েছে সেই সব খাবারে। এসব পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার গুলো হলোঃ
- কলা ও খেজুর
- বাদাম ও মধু
- দুধ ও ডিম
- তরমুজ
উপরে উল্লেখিত এইসব খাবার গুলো খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। সকালে খালি পেটে এসব খাবারগুলো গ্রহণ করা উচিত। এইসব খাবার গ্রুপে অধিক পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এইসব খাবারে অধিক পরিমাণে ফাইবার ও ক্যালরি রয়েছে। আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে সকালের নাস্তায় এসব খাবারগুলো রাখুন। তাহলে আপনি অল্প খাবারে এবং অল্প সময়ে খুব তাড়াতাড়ি মোটা হয়ে যাবেন।
সকালে খালি পেটে কয়টি ডিম খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে যে কয়টি ডিম খাওয়া যায়, তার প্রায় একটি ডিমে ৭২ থেকে ৭৭ ক্যালোরি থাকে। আপনি যদি দিনে তিন থেকে চারটি অতিরিক্ত ডিম খান তাহলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনি মোটা হতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ডিম সম্পন্ন খেতে হবে। কারণ ডিমের সাদা অংশে মাত্র ১৭ ক্যালরি থাকে, কিন্তু সম্পূর্ণ ডিমে প্রায় ৭২ ক্যালোরি থাকে। ডিম সিদ্ধ করে খেতে হবে। আপনি যদি শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশ খেয়ে মোটা হতে পারেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের তেমন ক্ষতি হবে না, কারণ ডিমের সাদা অংশে কোন ফ্যাট থাকে না।
আপনাকে অতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে হলে দিনে তিন থেকে চারটি ডিম সম্পূর্ণ সিদ্ধ করে এই অবস্থায় পুরোটা খেতে হবে। ডিমের সাদা অংশের যে পরিমাণ ক্যালরি থাকে পুরোটা ডিমে ও তার থেকে অধিক বেশি ক্যালরি থাকে। তাই একটি ডিমের পুরো ক্যালোরি পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরো ডিমটাই খেতে হবে। একদিনে আপনি চাইলে তিন থেকে চারটি ডিম খেতে পারেন। যা আপনার শরীরে সম্পূর্ণ ক্যালোরি যোগাবে।
এছাড়া ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ক্যালরি। যা আপনার শরীরের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। আপনার শরীরের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ ডিম সেদ্ধ অবস্থায় খেতে হবে। একটি ডিমের কোন অংশ বাদ দেওয়া যাবে না। একটি ডিম সিদ্ধ করে পুরোটাই খেতে হবে। এতে করে আপনি সম্পূর্ণ ক্যালোরি আপনার শরীরে পেয়ে যাবেন। এবং খুব তাড়াতাড়ি অল্প দিনে এবং অল্প সময়ে মোটা হয়ে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা
সকালে খালি পেটে খেয়ে মোটা হওয়ার ফর্মুলা
সকালে খালি পেটে খেয়ে মোটা হওয়ার অনেক ফর্মুলা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক কিছু ওষুধ। মোটা হওয়ার জন্য প্রাকৃতিকে ওষুধগুলো ঘরোয়া উপায়ে সেবন করলে অবশ্যই আপনি মোটা হতে পারবেন। চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নেই প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ঔষধ বানিয়ে কিভাবে মোটা হতে পারবেন।
- আপনাকে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং ফ্যাট জাতীয় কিছু ফলমূল খেতে হবে। ফ্যাট জাতীয় কিছু ফলের নাম হল -আম, কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, লিচু, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি। এই খাবারগুলো শরীরে ওজন বাড়াতে খুবই উপযোগী।
- আপনার চিকন শাস্ত্রের কারণ যদি হয় কম খাওয়া তাহলে আপনাকে অবশ্যই খাবার পরিমাণ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন যে পরিমাণ খাবার খান তার চার ভাগের একভাগ খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
- কিসমিস ও বাদাম ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী একটি খাবার। আপনি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানিতে পরিমাণমতো কিসমিস ও বাদাম ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে সেগুলো খালি পেটে পানি সহ খেয়ে নিন।
- আপনি যদি ভেবে থাকেন যে বারবার খাবার খেলে হয়তো মোটা হবেন তাহলে এটি আপনার সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এক্ষেত্রে আপনি বারবার খাবার না খেয়ে নিয়ম মেনে পেট করে খাবার খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের দ্রুত পরিবর্তন আসবে।
- আপনি যদি দ্রুত মোটা হতে চান তাহলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ভাতের ফ্যান যুক্ত করুন। কারণ ভাতের ফ্যানে প্রচুর পরিমাণে স্টার্স ও শর্করা থাকে। যেটির শরীরের ওজন বাড়াতে খুবই উপযোগী।
- আপনি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কিছু বিশেষ জাতীয় খাবার যোগ করতে পারেন। যেমন ডিম, ঘি ও মাখন, গরুর মাংস, খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার,চকলেট, কোমল পানীয়, মেয়নিজ ইত্যাদি। এই খাবারগুলো মোটা হওয়ার জন্য খুবই উপযোগী।
শেষ কথাঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় সে সম্পর্কে, ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি কি খেলে মোটা হওয়া যায়, কি খেলে ওজন বাড়ে, কোন ফল খেলে মোটা হওয়া যায় খেজুর খেলে মোটা হওয়া যায় স্বাস্থ্য ভালো রাখার সকালের নাস্তা এবং আরো অনেক কিছু। আজকের এই পোস্টে আমরা এই সব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। যেখানে আমরা আমার মতামত হচ্ছে মোটা হতে হলে অবশ্যই আপনার বেশি বেশি খেতে হবে। বেশি বেশি খেতে হবে বলছি বলে যে আপনি যেটা ইচ্ছা সেটা খাবেন তাহলে হবে না এটা আপনার উপকার না হয়ে অপকার হবে বেশি।
ভাত খাবেন প্রতিদিন চারবার প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে আর মোটা হওয়ার জন্য অবশ্যই পুষ্টি সমৃদ্ধ ও পুষ্টিগুণ জাতীয় ফলমূল নিয়ম করে খেতে হবে। বিভিন্ন প্রকার খাবার শাক সবজি ফলমূল খাওয়ার বিস্তারিত আলোচনা উপরে করেছি। আশা করি আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url