বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়

 বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে শুরুতে আমরা একটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। সেটি হল আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের মধ্যে যাওয়া যাবে কিনা। যদি আপনি মনে করেন যে চাওয়া যাবে না তাহলে এটা ভুল ধারণা।

বাংলাদেশ-থেকে-ইউরোপ-যাওয়ার-সহজ-উপায়

বাংলাদেশ থেকেও ইউরোপে ইউরোপে যাওয়া খুবই সহজ।আর তাই আমরা অনেকেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চাই। আর আপনিও যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এবারে আলোচনাটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।

পেজ সূচিপত্র : বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় গুলো হলো 

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় 

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় সমূহ এর মধ্যে ইউরোপ তার সমৃদ্ধ ইতিহাস মনোমুগ্ধকর স্থাপত্য এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। একজন বাঙালি হিসেবে হয়তো আপনিও কোনদিন এই মহাদেশের অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করার স্বপ্ন দেখেছেন। কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে দুটি সহজ উপায় আছে যা আপনার স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলতে পারে।

  • শিক্ষার্থী ভিসা: ইউরোপের অনেক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের মাধ্যমে আপনি শিক্ষার্থী ভিসা পেতে পারেন। এটি ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদী থাকার এবং কাজ করার সুযোগ করে দেয়।
  • ভ্রমণ ভিসা : পরিবার বন্ধু বা পর্যটন ভ্রমণের জন্য আপনি ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ভিসা আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘুরে দেখার সুযোগ করে দিবে।

বাংলাদেশ থেকে কি ইউরোপে যাওয়া যায়

সবার শুরুতে আমরা একটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। আর সেই বিষয়টি হলো আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের মধ্যে যাওয়া যাবে কিনা। আপনি যদি এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হন তাহলে আপনাকে বলব যে, এটা নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নেই। আপনি নির্দ্বিধায় ইউরোপ যেতে পারবেন।এখানে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ অনেকেই আছে যারা বাংলাদেশ থেকে খুব সহজে ইউরোপে যেতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রথমে সেনজেন ভিসার আবেদন করতে হবে। এরপর আপনারা যারা এরূপ যেতে চান তারা সেনজেন জনের ভিতর যেতে পারবেন। তখন আপনি উক্তজনের মধ্যে থাকা মোট ২৭ টি দেশের মধ্যে যাওয়ার সুযোগ সুবিধা পাবেন। এছাড়াও এই দেশগুলোতে উচ্চ বেদনে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

 আরো পড়ুন : মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব 

বাংলাদেশী হয়ে ইউরোপ যাওয়া 

একজন বাংলাদেশী হয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য মোট দুইটি সহজ উপায় রয়েছে। সে দুইটি হল একটি শিক্ষার্থী বিষয় এবং ভ্রমণ ভিসা। এই দুইটি ভিসার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যেতে পারবেন। ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়া খুবই সহজ। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ পড়াশোনা বা কাজের জন্য অনেকেই যেতে চান।

ভিসা পাওয়া অনেক সময় বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। বাংলাদেশীদের জন্য ইউরোপের কোন কোন দেশগুলোতে সহজে বিচার পাওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে অবশ্যই ভালোভাবে জানা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাস রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ইউরোপীয় ভিসা আবেদন করতে পারেন। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ সেনজেন চুক্তির অন্তর্ভুক্ত।

ইউরোপ যাওয়ার জন্য গন্তব্য নির্ধারণ করুন 

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে জানতে, প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন ইউরোপীয় দেশে যেতে চান। প্রতিটি দেশের নিজস্ব অন্যান্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইতিহাস প্রেমীরা রোম এথেন্স বা লন্ডনের মত ঐতিহাসিক শহরগুলোতে যেতে পারবেন। এইসব শহরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই যাওয়ার পূর্বে আপনার গন্তব্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।

শিল্পকলা অনুরাগীরা ফ্লোরেন্স, প্যারিস, বা মাদ্রিদের জাদুঘর ও গ্যালারি গুলো উপভোগ করার জন্য যেতে পারেন। প্রকৃতি প্রেমীরা সুইস আলপ্স, নরওয়েজিয়ান ফিড, বা স্প্যানিশ  উপকূলের দিকে যেতে পারবেন। এই সব দেশগুলো আপনি নির্দ্বিধায় খুব ভালোভাবে ঘুরে আসতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ 

 ভিসার জন্য আবেদনের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট, ভিসার আবেদন পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ভ্রমণ বীমা, হোটেল বুকিং, ফ্লাইট টিকিট, ভ্রমণ পরিকল্পনা ইত্যাদি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হতে পারে। ইউরোপের মধ্যে মোট ৫০ টি দেশ রয়েছে। আর সেই দেশগুলোর মধ্যে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলোতে খুব সহজে ভিসা পাওয়া যায়।

সেই সব দেশগুলোর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশের নাম গুলো হলো : যেমন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, লিথুনিয়া, লাটবিয়া। এইসব দেশগুলোতে আপনি খুব সহজে ভিসা পেয়ে যাবেন। কারণ ইউরোপের মধ্যে এই সব দেশগুলোর খুব সহজে ভিসা পাওয়া যায়। তাই আপনার যারা ইউরোপে যেতে চান তারা এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়ে জন্য অবশ্যই ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া দেশভেদে পরিবর্তিত হয়। তাই আপনি যদি ব্যবসায়ীক ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাহলে আপনাকে ব্যবসায়িক আমন্ত্রণপত্র এবং আপনার কোম্পানির সাথে সম্পর্কিত প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। আপনি যদি ছাত্র ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাহলে আপনাকে ভর্তির প্রমাণপত্র এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

 আরো পড়ুন : বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম 

ইউরোপ জাওয়ার ভিসা সংগ্রহ করুন 

 বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ভ্রমণের পরিকল্পনা করার পরে, আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলিতে ভ্রমণের জন্য সেনগেন ভিসা প্রয়োজন। আপনি যদি  এর সদস্য না হন তাহলে আপনার নির্দিষ্ট দেশের জন্য জাতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

ইউরোপ ভিসা আবেদন করার উপায়

ইউরোপ ভিসা আবেদন করার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য প্রথমে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। যে আপনি আসলে ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান। তারপর আপনার ভিসার ধরন সিলেট করতে হবে। কেননা, আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারবেন। আর ভিসার ধরন সিলেট করার পর অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো সরাসরি এম্বাসি অথবা অনলাইন থেকে ভিসা আবেদন করতে হবে।

ইউরোপের যেসব দেশে ভিসা পাওয়া যায় 

ইউরোপের যেসব দেশে ভিসা পাওয়া যায় এমন অনেকগুলো দেশ রয়েছে। এর মধ্যে ইউরোপের মোট ৫০ টি দেশ আছে। আর সেই সব দেশগুলোর মধ্যে এমন কিছু দেশ আছে যে দেশের সব দেশগুলো থেকে খুব সহজে ভিসা পাওয়া যায়। এই সব দেশগুলোর নাম গুলো হল :- ফ্রান্স, পর্তুগাল, মালটা, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, লিথুনিয়া, লাটভিয়া।

এসব দেশগুলোতে খুব সহজে ভিসা পাওয়া যায়। তাই আপনারা যারা ইউরোপ নিতে চান তারা এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে পারেন।

ইউরোপ যাওয়ার জন্য ট্রাভেল ডিস্ক 

আপনি অনলাইন থেকে ইউরোপ ভিসা আবেদন করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে প্রথমে দেশ সিলেক্ট করতে হবে যে দেশে আপনি যেতে চান। তারপর আপনাকে ভিসা ফি দিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের মাধ্যমে ইউরোপ ভিসা আবেদন করতে হবে। আপনারা অনেকেই ইউরো ভিসা আবেদন করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। যে মহাদেশের মধ্যে প্রায় ৫০ টির মত দেশ রয়েছে।

বাংলাদেশ-থেকে-ইউরোপ-যাওয়ার-সহজ-উপায়

ভিসা আবেদন করার আগে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান। আর আপনি যখন ইউরোপের দেশ নির্ধারণ করবেন তারপর আমাকে সেই দেশের সকল রুলস মেনে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সঠিকভাবে আবেদন করতে পারলে অবশ্যই ইউরোপের সেই দেশগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন।

কিভাবে ইউরোপ ভ্রমণে যাবেন 

কিভাবে ইউরোপ ভ্রমণে যাবেন ভাবছেন তবে ইউরোপ ঘুরে দেখার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো সেনজেন টুরিস্ট ভিসা। এই ভিসা দিয়ে ইউরোপের মোড় ২৭ টি দেশে ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করা যায়। এছাড়া সেনজেন ভিসায় পার্শ্ববর্তী আরও ১৩ টি দেশ দেখার সুযোগ থাকে।শেয়ার ট্রিপ এর সাথে যোগাযোগ করে মাত্র ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা খরচ করে সেনজেন ভিসা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

এম্বেসিতে ভিসা ফি পরিশোধ করার পর বিমান টিকেট কিনে বা ইউরোপ ভ্রমণ প্যাকেজ নিয়ে চলে যেতে পারবেন উন্নত সভ্যতার জগতে। সাধারণ ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্ট লাগে ঠিক সেগুলোই সেনজেন টুরিস্ট ভিসা পেতে দরকার হবে। সেনজেন ভিসা পেতে যেসব ডকুমেন্ট জমা দেওয়া লাগবে তা হলঃ 

 যেসব কাগজপত্র দেখাতে হবে 

  •  আবেদন ফরম 
  •  গত তিন মাসের মধ্যে তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি 
  •  তিন মাসের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট 
  •  ভ্রমণ প্যাকেজ বা পরিকল্পনার লিখিত বর্ণনা 
  •  রাউন্ড ট্রিপের বিমান টিকেট বা ফ্লাইট নাম্বার 
  •  ট্রাভেল ইন্সুরেন্স ( যেখানে ৩০ হাজার ইউরোর কভারেজ থাকবে )
  •  যেসব হোটেলে ও বাসায় থাকবেন তার বুকিং বা ঠিকানার ডকুমেন্ট 
  •  ইউরোপের থেকে আশা কোন ইনভাইটেশন লেটার 
  •  ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা কোন কোম্পানির স্পন্সরশিপ লেটার 
  •  ভিসা ফি এর জন্য পর্যাপ্ত ব্যালেন্স দেখাবে এরকম প্রমাণ পত্র 

 চাকুরীজীবীদের যা যা দেখানো লাগবে 

  •  অফিসের চুক্তিপত্র 
  •  অফিস থেকে ছুটির আবেদন ও অনুমতি পত্রের কপি 
  •  ব্যাংকের গত ছয় মাসের ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট 
  •  নিজস্ব আয়কর রিটার্ন করার ফর্ম 

 ব্যবসায়ীদের যা যা দেখাতে হবে 

  •  ট্রেড লাইসেন্স এর কপি 
  •  গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট 
  •  প্রতিষ্ঠানের আয়কর রিটার্ন ফরম 

 শিক্ষার্থীদের যা যা দেখানো লাগবে

  •  শিক্ষার্থী হিসেবে প্রমাণ পত্র বা সার্টিফিকেট 
  •  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া নো অবজেকশন সার্টিফিকেট 
  •  বাবা-মা অথবা অভিভাবকের সম্মতি ( অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে )

 ইউরোপ ভ্রমণে কোথায় কোথায় ঘুরবেন 

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় খোঁজার পর অবশ্যই ইউরোপের কোথায় কোথায় ভ্রমণ করবেন সেই তালিকা তৈরি করতে হবে। ইউরোপের ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিময় অনেক দেশ রয়েছে। যেসব দেশগুলোতে খুব নির্দ্বিধায় ভ্রমণ করা যায়। তার মধ্য থেকে বিশেষ বিশেষ কিছু দেশ আছে যেগুলো সর্বদা আলোচিত সেই সব দেশগুলো ভ্রমণের জন্য সেরা।

ইউরোপের ভ্রমণ করার জন্য বিশেষ কয়েকটি দেশের নাম হলঃ গ্রেট ব্রিটেন, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, তুরস্ক, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, গ্রীস, রোমানিয়া ও জর্জিয়া। আমরা নাটক সিনেমাতে অনেক বার এই সকল দেশের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা গুলা দেখেছি। এই সব দেশের মধ্যে বিশেষ কিছু দেশ রয়েছে যেগুলোয় ভ্রমণ করা খুবই সুন্দর। চলুন এবার জেনে নেই এসব দেশের মূল কিছু আকর্ষণ।

  • গ্রেট ব্রিটেনঃ লন্ডন ভ্রমণ করা সবার জন্য এক স্বপ্ন। এখানে বাকিংহাম প্যালেস, টাওয়ার অব লন্ডন, বিগ বেন, লন্ডন আই, national gallery সহ পৃথিবী বিখ্যাত সব কারুকার্য ও স্থাপনা দেখতে পারবেন। এছাড়া এখানে প্রায় ৩৫০ একরের এক বিশাল হাইট পার্ক রয়েছে। এই পার্কের মধ্যে পৃথিবী বিখ্যাত সব কনসার্ট গুলো দেখা যায় তবে লন্ডনে সারা বছরই বৃষ্টি হয় তাই সব বসন্তের সময় ভ্রমণে যাওয়ায় সঠিক হবে।

  • স্পেনঃ ইউরোপের মধ্যে বেশি ভ্রমণ করা দ্বিতীয় দেশ হলো স্পেন।এখানে বিভিন্ন ইউনেস্কো এর তালিকা করা ৪৭ টির বেশি স্থাপনা রয়েছে। মিউজিয়াম সমুদ্র সৈকত ও জনবহুল রাস্তার জন্য স্পেনের বার্সেলোনা ও মাদ্রিদ শহর বেশ বিখ্যাত। এছাড়া এখানে বুল ফাইটিং এর মত দুর্ধর্ষ খেলা দেখা যায়। আরো একটা আকর্ষণীয় বিষয় হলো স্পেনের রেস্তোরা ও রাস্তায় খুবই উন্নত খাবার পাওয়া যায়।
  • ফ্রান্সঃ আইফেল টাওয়ারের শহর হিসেবে পরিচিত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। এখানে আছে লুভর মিউজিয়াম ও ফ্রেঞ্চ রিভিয়ার মত মনোমুগ্ধকর স্থাপনা। এখানকার ইতিহাস ঐতিহ্য ঐতিহাসিক বলে বিবেচনা হয়। এখানকার লেভেন্ডার ফিল্ড রোমান্স রইস মন সেন্ড মাইকেলের মতো জায়গা আছে। অধিক সময় কাটানোর জন্য অভিজাত ভবন রেস্তোরাঁ আর কফি সব পাবেন। খাবার ও রন্ধন শিল্পের জন্য ফ্রাঞ্চের জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বকে ছাড়িয়ে গেছে।
  • ইতালিঃ পৃথিবী বিখ্যাত বড় বড় সব ভবন ইতালিতে দেখা যায়। রুমে গেলে কলাসিয়াম গুলো দেখতে পাওয়া যায় আবার ফ্লোরেন্সে গেলে রেনেসাঁর সময়কার আর্ট করা ভবন ও শিল্পকর্ম দেখা যায়। ইতালির ভেনিসে সারা শহরে পানির উপরে উঠে গেছে তাই গন্ডলার উপর করে মানুষের সাথে শহর জুড়ে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব।
  • জার্মানিঃ আধুনিক শিক্ষা ও জীবন ব্যবস্থার এক অনন্য উদাহরণ জার্মানি। জার্মানিতে একই সাথে ইতিহাস শিল্প ও রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ব্রান্ডেনবার্গ গেটের মত ব্যবস্থাপনা গুলো বার্লিন ওয়ালের বিশালতার কথা মনে করিয়ে দেয় জার্মানি। জার্মানিতে হাইডিং করার জন্য প্রচুর পাহাড় ও নদী রয়েছে। এখানে রাইন রিভার পয়েন্ট town ও পুরনো দুর্গগুলোতে ঘুরে ভ্রমণ স্মরণীয় করে রাখার মত  স্থাপনা রয়েছে।
  • রোমানিয়াঃ সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত দেশগুলোর তালিকায় রোমানিয়ার ওপরে সারিতে থাকবে। কারণ পুরানো গল্প আর প্রকৃতির রূপ একসাথে পাওয়া যায় এই দেশটিতে।দেশটির ব্রা ছবির রংবেরঙের ঘরবাড়ি দেখা যায়। সাগার আজ মাউন্টেন নামে বিশাল উপত্যকা থেকে দূর দূরান্তের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। রোমানিয়ার অন্যতম আকর্ষণ হল মনাস্তি গুলো । এগুলোতে রং করা থাকে তাই এগুলো মানুষের কাছে বেশি আকর্ষণীয়।
  • জর্জিয়াঃ ইউরোপের দেশ হিসেবে বিখ্যাত অবস্থায় রয়েছে জর্জিয়ার জনপ্রিয়তা। এদেশে জনপ্রিয় তাও কোন অংশে কম নয়। এখানে ১০ মিলিয়ন গ্যালন পানির বৃহত একুরিয়াম রয়েছে। পৃথিবীর বহু দেশে থেকে মানুষ রকসিটি গার্ডেন এর মত পাহাড়ি ঢাল দেখতে চাই। এই দেশটিতে বাইশেকরের বড় অলিম্পিক পার্ক রয়েছে। বিভিন্ন রকম অ্যাডভেঞ্চার করে বিচিত্রতা খুঁজে পাওয়ার সেরা জায়গা জর্জিয়া।
  • কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণঃ অনলাইনে শেয়ার টিপ এর প্যাকেজ নিয়ে ইউরোপে গেলেন,কিন্তু ঘোরাফেরা করার সময় কিছুপদ্ধতিতে ব্যক্তিগত খরচ কমিয়ে আনতে পারবেন। এবারে আপনাদের জন্য রয়েছে একরকম খরচ কমানোর কিছু টিপস। যেগুলো থেকে আপনারা আপনাদের ভ্রমণের খরচ কমাতে পারবেন। চলুন দেখে নেই কি কি টিপস থাকছে :-
  •  এয়ারপোর্ট থেকে কিছুটা পথ হেঁটে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে যাবেন 
  •  মেট্রো ও বাসের মতো পাবলিক ট্রান্সপটে যাবার চেষ্টা করবেন 
  •  প্যারিস বার্সেলোনা রুম বুকারেস্ট ভিয়েনা এসব স্থানে হেঁটে শহর দেখতে পারবেন 
  •  ইউরোপের রেস্তো রাতে ওয়েদার কে ভালো বেতন দেয় তাই টিপস না দিলেও কোন সমস্যা হবে না 
  •  কম খরচে খাবারের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ান রেস্টুরেন্ট পাবেন 
  •  প্যাকেজের বাইরে অবস্থানের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া করলে হোটেলের তুলনায় খরচ অনেক কম হবে 
  •  কম পরিমাণে মোবাইলের ডাটা ব্যবহার করে শহর বেশি উপভোগ করবেন 
  •  খরচের হিসেব ঠিক রাখতে ডলার ও ইউরোর অর্থে পার্থক্য জেনে নিবেন 
  •  সুপারমার্কের থেকে স্থানীয় জিনিস না কিনে ক্লিয়ারেন্স নামক স্থান থেকে কম খরচে কিনতে পারেন 
  •  বিভিন্ন দেশের স্মৃতি রাখতে দামি পোস্ট কার্ড না কিনে নিজের ছবি তুলে রাখতে পারেন 
  •  নাস্তা পানিও ইত্যাদি স্থানীয়বার থেকে দাঁড়িয়ে খাবার অভ্যাস করতে পারেন 

 ইউরোপের যেসব দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় 

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় জানতে হলে অবশ্যই ইউরোপের যেসব দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে হবে। এবং তালিকা করতে হবে কোন কোন দেশের ভিসা খুবই সহজে পাওয়া যায়। দেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ-থেকে-ইউরোপ-যাওয়ার-সহজ-উপায়

ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশের ভিসা পেলে ২৭ টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে। ইউরোপের প্রায় সব দেশে জীবনযাত্রার মান বেশ উন্নত মানের। যুক্তরাষ্ট্র কানাডা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা ও ভ্রমণ ভিসা প্রাপ্তি যেমন সহজ তেমনি খরচও অনেক কম। ইউরোপের মোট অনেকগুলো দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে : সুইজারল্যান্ড, মালটা, পর্তুগাল, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, লিথুনিয়া, লাটভিয়া ইত্যাদি।

  • সুইজারল্যান্ডঃ বিশ্বের পর্যটনের অন্যতম দেশ সুইজারল্যান্ড। সব সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুইজারল্যান্ড এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে বিভিন্ন দেশের মানুষরা এসে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা ও ভ্রমণ ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে অনেক মানুষ যায় এবং যেয়ে থাকে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যান। বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডে যাইতে হলে আইইএলটিএস স্কোর ওই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
  • মালটাঃ ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ হলো মালটা। বর্তমানে প্রতিবছরে বিভিন্ন দেশ থেকে মালটায় কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় বিভিন্ন রকমের মানুষজন। ইউরোপের এই দেশে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে কাজ নিয়ে মালটায় যাচ্ছেন অনেকেই। এছাড়া টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসা প্রাপ্তি ও বেশ সহজ।
  • পর্তুগালঃ অভিবাসীদের স্বর্গ বলা হয় পর্তুগাল কে। পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে সহজ। পর্তুগালে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া বেশ সহজ। ভ্রমণ ও পড়াশোনার জন্য সহজেই ভিসা পাওয়া যায় পর্তুগালে। তবে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে 6.0 থাকতে হবে।
  • ফ্রান্সঃ অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী একটি দেশ হল ফ্রান্স। ফ্রান্সের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায় সহজেই। তবে সে ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা ও সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু কাজের জন্য ভিসা পাওয়া। তবে এমনিও মেনে চেষ্টা করলে খুব সহজেই কাজের জন্য ভিসা পেয়ে যাবেন।
  • নেদারল্যান্ডঃ বর্তমানে নেদারল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসা খুবই সহজ উপায়ে পাওয়া যায়। বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যেসব শিক্ষার্থী নেদারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করেছে তাদের সকলের ভিসা পেয়েছে। সেক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কুল কমপক্ষে 6.50 থাকতেহবে।
  • হাঙ্গেরিঃ বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরিতে পড়াশোনার জন্য ভিসা প্রাপ্তি অনেক সহজ। সেজন্য অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে সেই শর্তগুলো বেশ সহজ। হাঙ্গেরিতে কাজের জন্য ভিসা চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে আবেদনকারীদের মধ্যে ৯৫% হাঙ্গেরি ভিসা পেয়েছে। বাকি পাঁচ শতাংশ ভিসা কাগজপত্রের গরমিলের জন্য বাতিল করা হয়েছে।
  • লিথুনিয়াঃ সুইডেনের বিপরীত পাশে অবস্থিত লিথুনিয়ার শিক্ষার হার প্রায় ৯৯%। সেখানে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি স্টুডেন্ট ভিসায় সুবিধা পাওয়া যায় এই দেশটিতে। তবে লিথুনিয়ায় কাজের জন্য ভিসা পাওয়া বেশ কঠিন।
  • লাটভিয়াঃ সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউরোপের এই দেশগুলোতে ভিসা প্রাপ্তির হার অনেক বেশি। সকল প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করলে খুব সহজে হিসাব পেয়ে যাবেন। ভিসার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন অনলাইনেই। যুক্তরাষ্ট্র কানাডা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে খরচ তুলনামূলকভাবে লাটভিয়াতে  অনেক কম।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে 

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একেক রকম একেক খরচ হয়। ইউরোপে যে কোন দেশে যেতে চাইলে ঘরে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। আপনি যদি ইউরোপের যে কোন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চান তাহলে ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা এর বেশিও লাগতে পারে। আর যদি সরকারিভাবে ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে চাইলে অল্প খরচেই যেতে পারবেন।

জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে

জার্মানি যেতে ভিসা ফ্রি ভিসা প্রসেসিং এয়ার টিকেট এবং আনুষঙ্গিক খরচ সহ মোট আট থেকে ১২ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জার্মানি যেতে চাইলে এই পরিমাণ খরচ হবে। আপনি যদি একজন জার্মানির উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান তাহলে নয় থেকে 10 লক্ষ টাকার মাঝে যেতে পারবেন। এজন্য প্রথমেই আপনাকে জার্মানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ জমা করতে হবে।

ইতালি যেতে কত টাকা লাগে

ইউজ যেতে চান এমন মানুষদের মাঝে অধিকাংশ মানুষই ইতালি যেতে ইচ্ছুক হয়। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে চাইলে ভিসা ফি প্রসেসিং এয়ার টিকেট ফি এবং অন্যান্য সকল খরচ মিলিয়ে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। ইতালি ভিজিট ভিসা যেতে চাইলে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা লাগে এবং ইতালি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চাইলে ৬০০০০ টাকা লাগে প্রাথমিক খরচ।

রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে

রোমানিয়া যেতে ইচ্ছুক এমন মানুষের মাঝে সার্ভে করলে দেখা যাবে অধিকাংশ মানুষই রোমানিয়া যেতে চাই। রোমানিয়া ওয়ার্ড পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। আপনি যদি কোন দালালের সহযোগিতা নেন বা কোন এজেন্সির সহযোগিতা নেন তবে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা অব্দি খরচ হবে।

রোমানিয়া স্টুডেন্ট ভিসা বারমানিয়া ভিসিট ভিসায় যেতে চাইলে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। আপনি কোন পদ্ধতিতে ভিসা আবেদন করছেন তার ওপর ভিসা ফ্রি ভিসা প্রসেসিং ফি এবং অন্যান্য ফি নির্ভর করে খরচ কম বা বেশি হতে পারে। চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা হলে আপনি ওয়ার্ক মার্কিন ভিসা নিয়ে রোমানিয়া যেতে পারবেন এবং যেকোনো কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে 

বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য পর্তুগাল গিয়ে থাকে। পর্তুগাল যেতে সাধারণত সাত থেকে আট লক্ষ টাকা লেগে থাকে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগাল যেতে চান তবে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগাল গিয়ে পার্টটাইম কাজ করে টাকা ও টাকা উপার্জন করতে পারবেন।এছাড়াও আপনি চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পর্তুগাল যেতে পারেন।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পর্তুগাল গেলে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। ভিসা ফি ভিসা প্রসেসিং এয়ার টিকেট অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলে নয় থেকে 10 লক্ষ টাকা হলে পর্তুগাল যেতে পারবেন।

মালটা যেতে কত টাকা লাগে

আমাদের দেশের অনেকেই মালটা গিয়ে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করেছেন। তাই অনেকেই মালটা যেতে আগ্রহী হয়ে থাকে। আপনি যদি মালটা যেতে চান তবে ওয়ার্ড পারমিট ভিসা নিয়ে মালটা যেতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে মালটা যেতে চাইলে ছয় থেকে আট লক্ষ টাকা খরচ হবে।আপনি যদি সরকারি ভাবে ভিএফএস গ্লোবাল এর সহযোগিতা নিয়ে মালটা ভিসায় আবেদন করেন তবে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে।

ইউরোপে সহজে কি কি কাজ পাওয়া যায় 

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় জানার পর অবশ্যই আপনাকে ইউরোপে কি কি কাজ পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে ইউরোপে যান তাহলে আপনাকে কি কাজ করতে হবে সেটা আপনাকে জেনে নিতে হবে। যারা ইউরোপে গিয়ে টাকা উপার্জন করে তাদের মাঝে অনেকেই ইউরোপে গিয়ে কাজ পায় না তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন।

আর আপনিও যদি এই রূপ যেতে চান এবং টাকা উপার্জন করতে চান তবে ড্রাইভার, রেস্টুরেন্ট এর কাজ, ক্লিনার, ওয়েলডিং এর কাজ, কৃষি কাজ,ফলের বাগানের কাজ সহ অনেক কাজ করতে পারবেন। ইউরোপ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা উপার্জন করা খুবই সহজ। ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গেলে সব ধরনের কাজ করতে পারবেন।

শেষ কথা: বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় 

আপনারা যারা আমাদের দেশ থেকে ইউরোপ যেতে চান তাদের জন্য আজকের লেখাটি অনেক হেল্পফুল হবে। আপনাকে আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত বলেছি। আজকের লেখাটি থেকে আপনি ইউরোপ যাওয়া সংক্রান্ত অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। 

এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে। ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগবে এবং ইউরোপের কোন কোন দেশগুলো যাওয়া সম্ভব কোন কোন দেশে যাইতে কত টাকা লাগবে। এবং ইউরোপ দেশে কি কি কাজ পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url