১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪ এই উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। কারণ ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বাঙালি জাতির জন্য  হাজার বছরের ইতিহাস এবং গৌরবময় দিন। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।

১৬ ডিসেম্বর-বিজয়-দিবস-বক্তব্য

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এই দিনে অনেকেই এই দিবস সম্পর্কে বক্তব্য দিতে চান। কিন্তু সেই সুন্দর করে বক্তব্য সবাই দিতে পারেন না। তাই চলুন আমরা আজকে জেনে নেই কেমন ভাবে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য একটি আদর্শ বক্তব্য হিসেবে দেওয়া যায়।

পেজ সূচিপত্রঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য গুলো বিস্তারিত হলোঃ

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪ এর জন্য পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কেননা বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেই সব অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসের বক্তব্য  পেশ করতে পারেন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এটি বাংলাদেশে এক অবিস্মরণীয় দিন। মহান বিজয় দিবস কে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের স্মারক হিসেবে পালন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এর সাথে জড়িয়ে আছে  বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহসিকতা ও গৌরবময় কাহিনী।

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গন বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। আর তার ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গোটা বিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করেছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর এই মহান দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। প্রতিবছর বাঙালিরা এই দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে থাকেন। মহান বিজয় দিবসের এই দিনটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আর সেখানে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেকেই বক্তব্য দিয়ে থাকেন।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্যের প্রস্তুতি গ্রহণ

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্যের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। কেননা যেকোনো কাজের জন্য অবশ্যই সঠিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। আর বক্তব্যকে প্রদানের ক্ষেত্রেও এটা অবশ্যই প্রয়োজন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু পূর্ব প্রস্তুতি আলোচনা করা হলোঃ

  • প্রথম ধাপঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বক্তব্য প্রদানের জন্য অবশ্যই বিজয় দিবসের তাৎপর্য ও ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এই জ্ঞান অর্জন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বিজয় দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব  সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

  • দ্বিতীয় ধাপঃ ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে সেগুলো সুন্দরভাবে সংক্ষেপে লিখে নিতে হবে। খাতায় বা কম্পিউটারে বিজয় দিবসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উল্লেখ করে লিখতে হবে।

  • তৃতীয় ধাপঃ বক্তব্য প্রদানের সময় নার্ভাস হওয়া যাবেনা। নার্ভাস কাটানোর জন্য বাসায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বারবার বক্তব্য দেওয়ার প্র্যাকটিস করতে হবে। এটার মাধ্যমে মনের ভেতরে থাকা ভয় এবং নার্ভাসনেস দূর হয়ে যাবে।

  • চতুর্থ ধাপঃ বিজয় দিবসের বক্তব্য প্রদানের জন্য স্টেজে ওঠার আগে নিজেকে অবশ্যই পরিপাটি পোশাকে সাজিয়ে নিতে হবে। কেননা বিজয় দিবসের বক্তব্য প্রদানের জন্য বাঙালি সংস্কৃতির সাথে অবশ্যই মানানসই  পোশাক পরিধান করে নিতে হবে।

  • পঞ্চম ধাপঃ বিজয় দিবসের বক্তব্য প্রদানের সময় অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে। এমনকি বক্তব্যের মধ্যে গভীরভাবে আবেগ ফুটিয়ে তুলতে হবে।

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশের ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কেননা  এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস টি জাতির জন্য গর্ব এবং আর তোমার সাথে তার প্রতীক। আমরা যে মহান বিজয় দিবস টি পেয়েছি এটি মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ এবং সংগ্রামের বিনিময়ে পেয়েছি। তাই এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখে রাখতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করতে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪ এই দিবসটিতে বাঙালি জাতি একত্রিত হয়ে ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কে উদযাপন করবেন। এটি এই দেশের যুবকদের দেশের প্রতি প্রেম জাগ্রত করবে এবং জাতীয়তাবোধকে প্রচলিত করবে। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস আমাদের জন্য একটি নতুন সূচনার প্রতীক। আমরা দেশের অগ্রগতির জন্য একটি সংকল্প নিতে পারি। আর তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও শোভা যাত্রার মাধ্যমে এটি নিবেদন করা হয়ে থাকে।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যেটি বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪ পালন করা হবে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। এটি বাঙালিদের জন্য শুধু বিজয়ের দিন নয়। বরং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ। যা সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুযোগ। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের তাৎপর্য হল সার্বভৌমত্ব, আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক এবং জাতির মুক্তি।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এই দিনটি বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনটি  প্রতিটি নাগরিকের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে আমাদের কাছে স্বাধীনতার মূল্য ঠিক কতটা বেশি। কেননা এই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রাণ দিয়েছে হাজারো মুক্তিযোদ্ধা। হাজারো মুক্তিযোদ্ধার রক্তের বিনিময়ে  আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভিত্তি স্বরূপ  থাকবে চিরকাল।

মহান বিজয় দিবসের পটভূমি 

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪ এটি বাংলাদেশের ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে যুদ্ধে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে  এবং বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বাঙালি জাতির কাছে শোভাযাত্রা ও আনন্দ উল্লাস হয়ে থাকবে চিরদিন। এই দিনটিকে বাঙালি যাতে আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে  স্বাধীনতার উদযাপন করেন।

১৬ ডিসেম্বর-বিজয়-দিবস-বক্তব্য

মুক্তিযুদ্ধের সময় পটভূমি ছিল অত্যন্ত কঠিন ও ভয়ানক। কারণ ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকায় নিশংস ভাবে হামলা চালিয়ে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘাটাই। ২৫ শে মার্চ রাত্রিকে  "অপারেশন সার্চলাইট" নামে অভিহিত করা হয়। ২৫ শে মার্চ রাতের হামলার পর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবং রাজনীতিবিদ নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। যার ফলে দেশের মধ্যে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে এবং দেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা তাদের বুকে রক্ত ঢেলে যুদ্ধ করে।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস এই দিনে দেশের প্রান্তের শহীদদের স্মরণ করা হয়ে থাকে। এই দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যে আত্মত্যাগ বলি দেওয়া হয়েছে সেই সব কিছু নতুন প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেয়া হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। বিজয় দিবস আমাদের সকলকে এটাই মনে করিয়ে দেয় যে, মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য যে সংগ্রাম করা হয় তা কখনো বৃথা যেতে পারেনা।

বিজয় দিবসের বক্তব্য সমূহ ২০২৪ 

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪ এই দিনটি বাংলাদেশের সকল প্রান্তে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্যের অনুষ্ঠানে অনেকে আছে  যারা বক্তব্য প্রদান করবেন। বিজয় দিবসের এই বক্তব্যটি খুবই সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় হওয়া প্রয়োজন। বক্তব্যের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বিজয় দিবসের বিস্তারিত ঘটনা উল্লেখ করতে হবে। বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া এই অনুষ্ঠানে যারা বক্তব্য পেশ করতে চান তারা অবশ্যই সাবলীল ভাষা ব্যবহার করবেন।

ছোট বড়, শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য সকল প্রকৃতির মানুষ এই দিনে বক্তব্য পেশ করতে পারেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ২০২৪ বক্তব্য অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চিরকাল গেঁথে থাকবে। এছাড়া আমরা বাঙালিরা প্রতিবছর এই দিনে শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নতুন প্রজন্মকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিস্তারিত পটভূমি ও গুরুত্ব আলোচনা করতে পারি। আপনাদের সুবিধার্থে আজকে  দুটি বক্তব্য আলোচনা করা হলো।

বক্তব্য: (১)

প্রিয় অতিথি বৃন্দ,

আপনাদের সকলের সামনে আজ আমি বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই। বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গৌরবময় দিন ১৬ই ডিসেম্বর। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪ কিছু কথা বলব আজকে।

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অতি মূল্যবান এবং স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং মুক্তিযুদ্ধে পরিষদ ঘটেছিল ১৬ই ডিসেম্বরে অর্থাৎ আজকের এই দিনটিতে। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করার পর আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অদম্য সাহসী বাঙালি তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।

২৫ শে মার্চ রাতের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামের পেছনে ছিল অসংখ্য শহীদ বীর। যারা তাদের প্রাণ দিয়েছেন এই দেশের জন্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় লাখো মানুষ হয়েছিল নির্যাতনের শিকার। এদেশের লাখো মানুষ  তাদের জীবনের চেয়ে আপন বলেছিল এই মাতৃভূমিকে। তাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি  এই স্বাধীন বাংলাদেশ। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস শুধু একটি তারিখ নয়। এই দিনটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।

১৬ ডিসেম্বরের এই দিনটিতে আমরা শহীদদের স্মরণ করি এবং সেইসব মা বোনদের স্মরণ করি যারা সম্মানের জন্য লড়াই করেছিল। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস আমাদেরকে  নতুন আশা নতুন আত্মবিশ্বাস দেয়। এই দিনটিতে আমরা শপথ গ্রহণ করে থাকি। দেশকে গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। ১৬ই ডিসেম্বর এই দিন আমাদের বাঙালি জাতির জন্য একটি আনন্দের দিন। এই দিনে প্রতিটি ঘরে ঘরে বাজে উল্লাসে সুর এবং শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে বিজয়ের পতাকা দেখতে পাই।

১৬ ডিসেম্বরের বিজয় একদিনের জন্য নয়। এটি আমাদের প্রতিদিনের জন্য জীবনে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আমরা একটি নতুন দেশের স্বপ্ন দেখি। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে তৈরি করার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের এই দেশকে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস আমাদেরকে শেখায় অদম্য সাহস ও সংগ্রাম করতে। বিজয় দিবসের ইতিহাস  আমাদের প্রতিনিয়ত স্মরণ করিয়ে দেয় সংগ্রাম করার জন্য।

তাই আসুন আমরা সকলে বিজয় দিবসের মহৎ উপলক্ষে শপথ গ্রহণ করি। দেশের জন্য আমরা দায়িত্ব পালন করব এবং বাঙালি জাতির প্রত্যাশা পূরণ করব। সকলকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। এই বাংলাদেশের মাটি, এদেশের স্বাধীনতা এবং মহানায়কদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের এই বক্তব্য এখানে সমাপ্ত করছি। ধন্যবাদ।

বক্তব্যঃ (২)

প্রিয় দেশবাসী বৃন্দ, 

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪ আজকের এই দিনে আমরা সকলেই মুক্তিযোদ্ধাদের ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করি। এদেশের হাজারো বাঙালি ও দেশপ্রেমিকের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ। তাদের আত্মত্যাগ তাদের অদম্য সাহস ও সংগ্রাম করার বিনিময়ে  পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের এই দিনে আমরা তাদের আবারো স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের গৌরবান্বিত ইতিহাস।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক হয়ে বেঁচে আছি। কিন্তু ১৯৭১ সালের হাজার বিশ্বজিৎ ও মা বোনদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি এই স্বাধীন দেশ। আমরা পেয়েছি মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার। আমরা পেয়েছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের যুদ্ধ করার অধিকার। এবং আরো পেয়েছি  পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করার অধিকার। এবং শেষ পর্যন্ত হতে পেরেছি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক।

আমরা বর্তমানে বসবাস করছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তবুও আমাদের দেশে রয়ে গেছে কিছু দুর্নীতি অনাচার। যে কারণে এখনো আমাদের দেশে গণতন্ত্রের নেই চর্চা, আইনের নীশাসন, দুর্নীতি এবং অনিয়ম বিরাজমান সবসময়। এইজন্য  আমাদের উচিত এসব সমস্যার সমাধান করার জন্য সকলেই একসাথে কাজ করা। সেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কেন্দ্র করে  এবং সেটিকে বুকে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। তাই আসুন আমরা সকলে মিলে আমাদের এই স্বাধীন দেশকে সুন্দর ও সমৃদ্ধি দেশ হিসেবে গড়ে তুলি।

বিজয় দিবসের চেতনা ও প্রেরণা

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের চেতনা এটি অতীতের নয় বরং এটি আমাদের ভবিষ্যৎ গঠনের পাথেয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীন দেশ পেয়েছি, সেই স্বাধীন দেশকে সমৃদ্ধিপথে এগিয়ে নিয়ে যাব। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজকে স্বাধীনতা পেয়েছি এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র বীর শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে। সেই বীরদের আত্মার কাছে আমরা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবো। আমরা আজকের সকলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হব যে, আগামীতে আমাদের দেশকে  এবং জাতিকে উন্নত ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষার্থে, সাম্যের উপর ভিত্তি করে  সমাজ নির্মাণ এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার অঙ্গীকার যেন আমরা পালন করতে পারি, এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে আমাদের সকলকে। ১৬ই ডিসেম্বর আজকের এই দিনে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন যে, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ, ন্যায় প্রতিষ্ঠা, সুশাসন এবং একতাবদ্ধ হয়ে থাকা। এক্ষেত্রে যেন দেশের প্রতিটা মানুষ নিজের স্বাধীনতা পায় এবং নিজের মর্যাদা অর্জন করতে পারে। পরিচয় এবং স্বাধীনতা নির্বিঘ্নে যেন পাই।

বিজয় দিবসে নতুন সম্ভাবনা ও আশাবাদ 

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রেরণা ও চেতনা আমাদেরকে অতীতের সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় বরং আমাদের সামনে নতুন দিন উন্মোচন করার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের দেশকে আগামীতে আরও  সাফল্যের পথে নিয়ে যাওয়ার প্ররোচনা দেয়। আমরা যেন সব রকম শত্রুতা ও ভেদাভেদ ভুলে একসাথে দেশের কাজ করতে পারি। এছাড়াও আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে যেন তাদের মেধা দক্ষতা এবং পরিশ্রম দিয়ে দেশের সফলতা ও দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারে সেই দায়-দায়িত্ব আমাদের।

আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং শিল্পের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্ব মানের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। আমাদের আগামী প্রজন্মকে আজকের থেকেও আরো অনেক বেশি উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করানো উচিত। আর সেজন্য  আমাদের উচিত পরবর্তী প্রজন্মকে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য সংগ্রামের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আসুন আমরা সকলে মিলে  স্বাধীন দেশের উন্নয়ন ও সফলতার জন্য দলবদ্ধভাবে এগিয়ে আসি।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্যে সম্মানিত উপস্থিতি

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের চেতনায় আসুন আমরা আরও একটিবার শপথ গ্রহণ করি। আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বপ্নের সেই উচ্চতায়  পৌঁছে দেওয়ার জন্য সকলে আমরা একতাবদ্ধ হয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই। আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ যেন শান্তি এবং সুখের প্রতীক হয়ে থাকে। আমাদের আগামী প্রজন্মকে  যেন স্বপ্ন দেখায়,তারা এমন এক স্বাধীন বাংলাদেশের নির্মাতা যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার অধিকার এবং স্বাধীনভাবে বাঁচার নিশ্চয়তা পান।

১৬ ডিসেম্বর-বিজয়-দিবস-বক্তব্য

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস, আজকের এই দিনে সকলের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি যে, আমরা আবারও শপথ  গ্রহণ করি, আমাদের দেশ, আমাদের মাতৃভূমিকে, স্বচ্ছ ও সুন্দর, ন্যায় পরায়ণতা  ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। আমরা যেন ভবিষ্যতের উন্নয়নশীল দেশের প্রত্যাশায় এগিয়ে যেতে পারি। যেখানে সকল নাগরিক অর্থাৎ বাংলাদেশের সকল জনগণ বলতে পারে, আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ হিসেবে গৌরবান্বিত।

বিজয় দিবসের বক্তব্যে প্রিয় বন্ধুগণের উদ্দেশ্যে 

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২৪, আজকের এই দিনটিতে আসুন আমরা বীর শহীদের স্মরণ করি। এবং তাদের অদম্য সাহসকে ও ত্যাগকে  সম্মান দিয়ে আমাদের এই দেশকে উন্নতির আরো উচ্চ শিখরে পৌঁছে দি। আমাদের চলার এই যাত্রা যেন অবিরত চলতেই থাকে। ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের জন্য  বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে। ১৯৭১ সালের দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর আমরা আমাদের স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।

১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতের নিশংস হত্যার মাধ্যমে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের দেশের বীর সাহসীরা তাদের বুকে রক্ত ঢেলে এদেশের জন্য  স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য দিয়েছে হাজারো লাখো কোটি মানুষ বলিদান। এছাড়াও আপনি আসেন আমাদের দেশের মা বোন  হারিয়েছে সম্মান। তাই আসুন আমরা তাদের বীরত্বকে স্মরণ করে স্বাধীন-বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

শেষ কথাঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি বিজয় দিবসের বক্তব্য পেশ করতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এবং প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসারে বক্তব্য পেশ করুন। আজকের আর্টিকেলে শুদ্ধ ও সাবলীল ভাষায় কিভাবে বক্তব্য পেশ করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url