বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম

 
আর্টিকেল লিখার নিয়ম ব্লগ হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।আপনি যখন আপনার ব্লগের জন্য কনটেন্ট লিখবেন তখন আপনাকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে। 

বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম


ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কনটেন্ট রাইটিং কে প্রাধান্য দেওয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর রাজা হলো কনটেন্ট রাইটিং। 

পেজ সুচিপত্র :আর্টিকেল লিখার নিয়ম গুলো হলো।

আর্টিকেল লিখার নিয়ম এর একটি বড় অংশ হলো -আর্টিকেল রাইটিং। কোন একটি বিষয়ে জানার জন্য আমরা কোন বই, ম্যাগাজিন, পত্রিকা, অথবা অনলাইন বিভিন্ন ওয়েবসাইট, যে লিখা পড়ি, ভিডিও অডিও, ইমেজ দেখি সেগুলো হচ্ছে কনটেন্ট বা আর্টিকেল।
ডিজিটাল কনটেন্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে -
  • টেক্সট কনটেন্ট
  • অডিও কনটেন্ট 
  • ভিডিও কনটেন্ট 
  • ছবি বা ইমেজ ইত্যাদি।
কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে সাজিয়ে গুছিয়ে টেক্সট আকারে তথ্য বহুল কোনো কনটেন্ট লেখার যাবতীয় কার্যক্রম কেই আর্টিকেল রাইটিং বলে। আর্টিকেল মূলত ব্যাপক হয়ে থাকে যা পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এটি ফর্মাল বা ইনফরমাল উভয়ে হতে পারে।

আর্টিকেল লিখার নিয়ম 

সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখতে না জানার অনেকের আর্টিকেল লিখা গুগলে রাংঙ্ক করা যায় না। এর ফলে ওয়েবসাইট থেকে তেমন ইনকাম সম্ভব হয় না। এইজন্য আমাদের সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখা জানতে হবে ও সেইভাবেই লিখতে হবে।আজকের এই প্রতিবেদন টির মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে একটি আর্টিকেল লিখে সম্পূর্ণ ফরমেটিং করতে হয় এই বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য।

আর্টিকেল এর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ 


  •  ধাপ ১- Keyword Surfer -আপনি ক্রম বা ফায়ারফক্স এর মাধ্যমে কিওয়ার্ড সার্ফর এক্সটেনশনটি এড করে নিবেন কিওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য। এটা আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ কে করে দিবে সহজ।
  • ধাপ ২- এক্সটেনশন্টি ক্লিক করে "সিলেক্ট লোকেশন " এ গিয়ে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কিওয়ার্ডের জন্য আপনার পছন্দ মতন দেশ সিলেক্ট করে নিতে হবে। কারণ বিভিন্ন দেশের মানুষের চাহিদা বিভিন্ন রকমের হতে পারে।

আর্টিকেলের জন্য ভূমিকা 

ভূমিকা হচ্ছে ভিজিটরদের ধরে রাখা, আর্টিকেল পড়ার আগ্রহ তৈরী করা ও শেষ পর্যন্ত পড়তে বাধ্য করা। চলুন জেনে নিই কিভাবে ভূমিকা লিখবেন!
  • প্রশ্ন দিয়ে শুরু করুন 
  • ভিজিটররা সবসময় ইনফরমেশন জানতে চায়। এখন আপনার পোস্টার ভূমিকা যদি ইনফরমেশন দিয়ে শুরু করেন, তাহলে ভিজিটররা আপনার পুরো কনটেন্ট পড়তে আগ্রহী হবে।
  • ভূমিকা সংক্ষিপ্ত রাখুন 
  • ভূমিকা আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে যতটা সম্ভব রিলেভেন্ট হওয়া উচিত, তাই এটি যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখা যায় ততই ভালো।
আপনি কনটেন্ট এর নজর কাড়া টাইটেল ও আকর্ষণীয় ইন্ট্রো লিখতে যতটুকু প্রচেষ্টার দরকার ছিল তা করেছেন। এবার আপনাকে কনটেন্টের বডি বা ভিতরের অংশ কেমন হবে সেদিকে ফোকাস দেওয়া উচিত। চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই -
  • অনুচ্ছেদ কম কম বাক্য ব্যবহার করুন -আপনি যখন একটি অনুচ্ছেদ লিখবেন তখন তা যেন ৩/৪ বাক্যর মধ্যে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখাটা বেশ জরুরি। খুব বেশি বড় অনুচ্ছেদ পাঠককে কন্টেনটি পড়তে আগ্রহী করে তুলে।
  •  বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার -বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে আপনার কনটেন্টে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যুক্ত করুন। অপ্রয়োজনীয় শব্দগুলি বাদ দিয়ে, বুলেট পয়েন্টগুলি ব্যবহার করা হলে আপনার কনটেন্টকে আরো পার্থক্য করে তোলে। অপ্রয়োজনীয় কথা লিখে কনটেন্ট বড় না করে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বুলেট পয়েন্ট আকারে ফুটিয়ে তুলেন। যা আপনার কনটেন্ট কে দেখতে আরো ইন্টারেস্টিং করে তুলবে।
  •  ইমেজ চার্ট ইন ব্যবহার -আপনি আপনার ব্লগ পোস্টে রিলেটেড ছবি চার্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে পাঠকদের মনে ওই পোস্ট সম্পর্কে একটি প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে পারেন। লেখার সাথে রিলেটেড ছবি ভিডিও পাঠকরা লেখাটি পড়লে অবশ্যই  কৌতুহলী হয়ে উঠবে এবং লেখাটা পড়তে কখনোই বিরক্ত বোধ করবেন না। 
বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম


 গুরুত্বপূর্ণ কিছু হেডলাইন 

 আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার ভিজিটররা যাতে আপনার আর্টিকেলের হেডলাইন দেখে ক্লিক করে। কফি ব্লগার  এর রিপোর্ট অনুসারে দশজনের মধ্যে ৮ জন একটি হেডলাইন দেখে ক্লিক করে থাকে। হেডলাইন তৈরি করার জন্য কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তাও জেনে নিন :
  •  একের অধিক হেডলাইন লিখন - আপনার আর্টিকেলের জন্য কমপক্ষে পাঁচটি হেডলাইন লিখুন প্রফেশনাল ব্লগাররা সাধারণত এমনটাই করে থাকেন। কেননা আপনার ব্লগের আর্টিকেলের হেড লাইন যত আকর্ষণীয় হবে ভিজিটরা আপনার আর্টিকেলে ততো বেশি ক্লিক করবে।
  •  আর্টিকেল নির্ভুল রাখুন - আপনি যে হেডলাইন বাছাই করুন না কেন এটি যেন আপনার পোস্টটিকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। আপনি আশানুরূপ ভিজিটর পাবেন না। এছাড়া আপনার হেডলাইনের লেখাগুলো যাতে নির্ভুল থাকে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
  •  টাইটেল সংক্ষিপ্ত করুন - টাইটেলটি কখনোই বেশি লম্বা করবেন না তাহলে পাঠক আপনার হেডলাইন থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে তাই টাইটেল যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত এবং রিলেভেন্ট রাখার চেষ্টা করুন। শিরোনামকে ৬ থেকে ৯ শব্দের মধ্যে হওয়া উচিত। ৩০ থেকে ৬০ কারেক্টরের মধ্যে হলে ভালো হয়। টাইটেলটি যদি আকর্ষণীয় হয় তাহলে পাঠকদের এটেন্সান পাওয়া খুব সহজ হয়।
  •  টাইটেল প্রাসঙ্গিক রাখুন - কনটেন্ট এর সাথে আপনার হেডলাইনের মিল থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টাইটেল যদি অপ্রাসঙ্গিক অর্থাৎ কন্টেন্টের সাথে ম্যাচ না হয় তবে আপনার পোস্টে ক্লিক করার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
  •  পাওয়ারফুল শব্দ ব্যবহার করুন - কনটেন্ট রাইটিং লিখার সময় অবশ্যই পাওয়ারফুল পাওয়ারফুল শব্দ ব্যবহার করতে হবে।কেননা পাওয়ারফুল শব্দগুলো ভিজিটরের সাইকোলজিক্যাল ও ইমোশনাল ভাবে সংযুক্ত করে রাখে।
  •  টাইটেল নাম্বার ব্যবহার করুন -আর্টিকেলের মধ্যে অবশ্যই টাইটেল নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। আর্টিকেলের ভেতর কমপক্ষে ১০ টি টাইটেল ব্যবহার করা উচিত। যেটাকে আর্টিকেলের ভাষায় প্রকাশ কি ওয়ার্ড বলা হয়।

ব্লগের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং   

আপনি যখন লিখবেন আপনাকে অনেক করতে হবে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। পড়াশোনা ছাড়া লেখালেখি বলতে পারেন। নিয়মিত ভাল এবং জনপ্রিয় ব্লগারদের সাইট করুন। তাদের লেখা ধরন অনুসরণ করুন। তাদের লেখা অনুসরণ করতে করতে একসময় আপনার নিজস্ব লিখার স্টাইল তৈরি হয়ে যাবে, যা আপনাকে সবার চাইতে ইউনিক করে তুলবে। সেখান থেকে আপনারা বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে পারফেক্ট ভাবে একজন রাইটার হতে পারবেন।

 অনুপ্রেরণামূলক উপসংহার 

 একটি আকর্ষণীয় টাইটেল ভালোই ইন্ত্র এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট বডির পরে একটি অনুপ্রেরণামূলক উপসংহার তৈরি করুন। চলুন দেখে নিয়ে কিভাবে ভালো উপসংহার লিখতে হয় :
  •  মূল পয়েন্টগুলি সংক্ষিপ্ত করুন - আপনি আপনার কনটেন্ট এর আসল পয়েন্টগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে উপসংহারে তুলে ধরুন। যেন পাঠকদের আসল মেসেজ পেতে সহজ হয়। মনে রাখবেন উপসংহার আপনার কনটেন্টের সারমর্ম তা যতটা সম্ভব ছোট রাখার চেষ্টা করবেন।
  •  প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন- উপসংহার একটি প্রশ্ন রাখতে পারেন যাতে পাঠকরা আপনার লেখাটি পড়ে তাদের মতামত জানাতে পারে। এতে আপনার কমেন্ট সেকশনে এনগেজমেন্ট বাড়বে। তবে একটি বেশি প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  •  অনুপ্রেরণামূলক উক্তি - লেখাগুলো পুরোপুরি শেষ করার আগে একটি অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি জুড়ে দিন যাতে পাঠকের মনে আপনার এই লেখাটি দীর্ঘ ও পজেটিভ প্রভাব ফেলে। এতে করে ভিজিটরা আপনার আপনার কনটেন্ট ও পরবর্তী লিখাগুলো পড়তে আগ্রহী পাবে।

 ব্লক কনটেন্ট যেমন হওয়া চাই 

 এক একটি আর্টিকেল লেখার স্টাইল একেক রকম হয়ে থাকে। আপনার ব্লগ আর্টিকেলের সাথে প্রোডাক্ট কনটেস্ট এক না আবার সার্ভিস কনটেন্টও অন্যরকম। তাই লিখার সময় আপনাকে অনেক পড়াশোনা করে নিতে হবে যাতে আপনার লেখা কন্টেন্ট পরে পাঠক উপকৃত হয়। কিভাবে লিখতে হয় আর্টিকেল তার কিছু উদাহরণ দেওয়া হল :
  •  আর্টিকেল সম্পর্কে ইন্ট্র 
  •  হেডিং ব্যবহার করুন 
  •  ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ ব্যবহার করুন 
  •  বুলেট পয়েন্ট এবং লিস্ট ব্যবহার করুন
  •  প্রশ্ন ও উত্তর ব্যবহার করুন 
  •  বিভিন্ন পরিসংখ্যান বা নাম্বার বা কোটেশন ইউটিউব থেকে নিতে পারেন।
  •  উপসংহার

আর্টিকেলের শেষ অংশ 

আজকের লেখার নিয়ম সঠিকভাবে জেনে তবে আপনি অনলাইনে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও নিজের ক্যারিয়ার করতে পারেন। আজকের লেখার নিয়ম খুঁজতে প্রথমে আপনাকে google ক্রমে গিয়ে ব্লগার ডট কম দিয়ে সার্চ করতে হবে এবং ব্লগার ডট কম এর ভিতরে প্রবেশ করতে হবে।
 ব্লক পোষ্টের জন্য আপনি উপরের গাইডলাইন ফলো করে যদি আর্টিকেল রাইটিং করেন তাহলে আপনার ওই আর্টিকেলটি আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আর আপনার আর্টিকেল যত বেশি সুন্দরও তথ্যপূর্ণ হবে আপনি তত বেশি ভিজিটর বা ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারবেন।

বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url