মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা

মিল্কশেকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত জানবো এই পোষ্টের মাধ্যমে।মিল্কশেক আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এবং কতটা অপকারে সে সম্পর্কেও জানব বিস্তারিত। মিল্ক শেক হল একটি পানীয় জাতীয় খাবার। যা আমরা সকলেই জানি।

মিল্ক -শেকের-উপকারিতা-ও অপকারিতা

মিল্ক শেক হলো একটি পানিয়ের নাম। যা একসাথে কিছু উপকরণের সাহায্যে তৈরী করা হয়ে থাকে। যারা ডায়েট কন্ট্রোল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ -সচেতন তথ্য সম্পর্কে অবগত তারা জানেন মিল্ক শেক মূলত কেমন হয়ে থাকে।এই কোমল এবং অস্বাস্থকর পানীয় পান করার যুগে আপনি যদি নিজেকে সুস্থ ও ফিট রাখতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত মিল্ক শেক খেতে পারেন।কেননা মিল্ক শেক খুবি স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়।

পোস্ট সুচিপত্রঃ মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো হলঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

মিল্ক শেক তৈরিতে ভিটামিন সি জাতীয় ফল যোগ করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর তাই আমাদের উচিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল দিয়ে মিল্ক শেক তৈরী করা। এতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

মিল্ক শেক এর পুষ্টিগুন

মিল্ক শেক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। আয় মিল্ক শেক এ অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে। মিল্ক শেক এর পুষ্টি উপাদান গুলো নিম্নে দেওয়া হলো :-

  • সোডিয়াম -৯৫ মিলিগ্রাম 
  • পটাসিয়াম -১৮৩ মিলিগ্রাম 
  • কোলেস্টোরিল -১২ মিলিগ্রাম 
  • কালোরি -১১১. ৯ গ্রাম 
  • শর্করা -১৮ গ্রাম 
  • ফ্যাট -১. ৯ গ্রাম 
  • প্রোটিন -৩. ৯ গ্রাম 
  • সুগার -১৮ গ্রাম 
  • ক্যালসিয়াম -১৪% 
  • ম্যাগনেসিয়াম -৩%
  • ভিটামিন -১২%   

মিল্ক শেক শক্তি বৃদ্ধি করে

মিল্কশেক পান করার মাধ্যমে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি যোগান দেয়। মিল্কশেক একটি পানীয় জাতীয় খাবার। মিল্কশেকের মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় । মিল্ক থেকে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি পানীয় খাবার হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির মানুষ খেয়ে থাকে। তবে বাইরে কেনার থেকে ঘরে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করে মিল্ক শেক পান করে শরীরের জন্য ভালো। আর এই মিল্ক শেক শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। 

মিল্ক শেক ওজন বৃদ্ধি করে

মিল্ক শেক বিভিন্ন ধরণের পাওয়া যায়। তার মধ্যে রয়েছে, কলার মিল্ক শেক ও বাদমের মিল্ক শেক। কলার মিল্ক সেকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি,আন্টি অক্সিডান্টস। যা আমাদের পুষ্টির যোগান দেই। মিল্ক শেক আপনি যদি নিয়মিত পরিমানে গ্রহণ করেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনার শরীরে অনেক পরিমানে চিনি এবং কালোরি প্রবেশ করবে। যার কারণে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে।


মিল্ক-শেকের-উপকারিতা-ও অপকারিতা

মিল্ক শেক হাড় বৃদ্ধিতে কার্যকরী

মিল্ক শেক শরীরের হাড় গঠনেও ভূমিকা রাখে। এটা বিভিন্ন বয়সের ছেলে মেয়েদের নিয়মিত খাওয়ালে তাঁদের হাড় সুস্থ থাকবে ও বৃদ্ধি পাবে। হাড় ও দাঁতের যত্নে এটা একটি আদর্শ খাবার। হাড়ের পর্যাপ্ত বৃদ্ধি প্রেমিক শেক খাওয়াটা খুবই জরুরী। এমন অনেক মিল্কশেক রয়েছে যেগুলো ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করে নিয়মিত পান করা যায়। তার মধ্যে ফলমূলের যে সব ফলমূল দিয়ে মিল্ক শেপ তৈরি করা যায় সেগুলো খাওয়া খুবই উপকারী।


মিল্ক শেক হার্টের অবস্থা ভালো রাখে 


কমলা, স্ট্রোবেরি, দুধ ইত্যাদি খাবার গুলো ফাটি যুক্ত উপাদান। আর এগুলো একসাথে মিল্ক শেক করে নিয়মিত খেলে হার্টের অবস্থা ভালো থাকে। মিল্ক শেখ এমন একটি খাবার যা হার্টের অবস্থাকে পুনরায় ভালো রাখতে সাহায্য করে সব সময়। হার্টের অবস্থা যখন করুন পর্যায়ে চলে যায় তখন বেশি বেশি করে নিয়ম করে মিল্কশেক পান করাটা উচিত। আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আমাদের হাটের অবস্থা ভালো রাখাটা প্রয়োজন। আর সেই জন্য অবশ্যই নিয়ম করে মিল্ক খেতে হবে। 

মস্তিকের অবস্থা ভালো রাখে

মিল্ক শেক এ রয়েছে বিভিন্ন আন্টি অক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। রে কারণে মস্তিকের ওপরে ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পরে না। এর জন্য ফ্রুট মিল্ক শেক খেতে পারেন। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অবস্থা ভালো রাখার জন্য মিল শেখ খুবই কার্যকরী একটি পানীয় খাবার। মিল্কশেক নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের অবস্থা ভালো রাখে। মস্তিষ্কের অবস্থা ভালো রাখার জন্য নিয়মিত মিল্ক শেখ খাওয়া খুবই প্রয়োজন। 

কার্বোহাইড্রেট এর অভাব দূর করে থাকে

মিল্ক শেক তৈরিতে যেই চিনির প্রয়োজন হয় সেটা কার্বোহাইড্রেট দূর করতে সাহায্য করে। মিল্ক সেকে যে পরিমিত পরিমানে চিনি ব্যবহার করা হয় টা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই নিয়মিত মিল্ক শেক খাওয়া উচিত। আমাদের শরীরের যখন রয়ে যায় তখন নিয়ম করে বাসায় তৈরি করে খাওয়াটা প্রয়োজন। 


মিল্ক শেক খাওয়াতে যেমন উপকার রয়েছে তেমনি অপকারিতা ও আছে। মিল্ক শেক সেবন করার আগে অবশ্যই এর অপকারিতা ও জেনে নিতে হবে। মিল্ক শেখ আমাদের শরীরে উপকারের তুলনায় অপকারও করে তাই শরীরের কোনটা উপকার করবে এবং কোনটা উপকার করবেন না সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। মিল্কশেক এমন একটি খাবার যেটা অতিমাত্রায় খেলে শরীরে উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কি কি ক্ষতি হতে পারে সেগুলো জেনে নিনঃ 

  • ত্বকে এলার্জি সমস্যা হতে পারে।
  • ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে।
  • পেতে গ্যাস এর সমস্যা হতে পারে।
  • হজমের সমস্যা হতে পারে।
  • পেতে ব্যাথা হতে পারে। 
  • ডায়াবেটিস হতে পারে। এবং
  • কোলেস্ট্রল এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম 

মিল্ক শেক কে আসলে বিভিন্ন পদ্ধতি এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাদের পানীয় হিসেবে তৈরী করা যায়। খুব সহজে ঘরোয়া উপায়ে বানানো যায় এমন কিছু মিল্ক শেক রেসিপি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ 

চকোলেট মিল্ক শেক 

চকোলেট মিল্ক শেক বাচ্চাদের জন্য বেশ উপযোগী। বাচ্চারা সবসময় মুখরচক খাবারের দিকে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। তাই আপনি চাইলে এই মিল্ক শেক টি বানাতে পারেন। এই মিল্ক শেকটি বানাতে যা যা লাগবেঃ

  • কারামেল আইসক্রিম ক্রিম 
  • 2 কাপ পরিমান সাধারণ দুধ 
  • 3 চা চামচ ভ্যানিলা ফ্লেভার 
  • ১টি কলা 
  • ২ চা চামচ যেকোনো লিকুইড চকলেট
এবারে সব উপকরণ হালকা পানির সাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। আর কারামেল আইসক্রিম যেকোনো সুপার শপে গেলেই পেয়ে যাবেন। এর পর বানিয়ে ফেলুন চকলেট মিল্ক শেক।

খেজুরের মিল্ক শেক

খেজুর যা প্রতিটি রান্না ঘরেই এখন বর্তমানে পাওয়া যায়। তাই হাতের কাছে থাকা এই স্বাস্থ্যকোর ফলটির সাহায্যে ও তৈরী করতে পারেন খেজুরের মিল্ক শেক। এই মিল্ক শেকটি তৈরী করতে কি কি লাগে চলুন দেখে নেওয়া যাকঃ

  • দানা ফেলে দিয়ে ৪ কাপ খেজুর নিন।
  • ২ চা মচ চিনি নিন।
  • ৭২০ মিলিগ্রামের মতো ফ্রেশ দুধ নিন।
  • ১ কাপ পরিমান আইস কিউপ নিন।
এবার সব উপকরণ একসাথে ভালোমত মিশিয়ে ইচ্ছে মতো ডিজাইন করে পরিবেশন করুন। আপনি চাইলে এই মিল্ক শেক এ চিনির পরিবর্তন করতে পারেন। কারণ এই মিল্ক শেক এ খেজুর দেওয়া হয়েছে যেটাতে চিনির পরিমান রয়েছে যথেষ্ট পরিমানে। এইভাবেই বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার খেজুরের মিল্ক শেক।

মিল্ক-শেকের-উপকারিতা-ও অপকারিতা

কিছু কথাঃ মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা 

মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা এর নিয়ম মেনে বিভিন্ন স্বাদের মিল্ক শেক পান করতে পারেন। বাজারের কোমল পানীয় কে না বলুন। এসব পানীয় বিভিন্ন তৈরির বাজে প্রক্রিয়া জন্য হলেও আপনার আমার এসব পানীয় বর্জন করা উচিত। মিল্ক শেক একটি ভালো ধারণা নিয়ে নিজেরাই ঘরোয়া ভাবে তৈরী করে সেবন করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url