মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা - মিল্কশেক খেলে কি ওজন বাড়ে বিস্তারিত জানুন

মিল্কশেকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত জানবো এই পোষ্টের মাধ্যমে।মিল্কশেক আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এবং কতটা অপকারে সে সম্পর্কেও জানব বিস্তারিত। মিল্ক শেক হল একটি পানীয় জাতীয় খাবার। যা আমরা সকলেই জানি।

মিল্ক-শেকের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

মিল্ক শেক হলো একটি পানিয়ের নাম। যা একসাথে কিছু উপকরণের সাহায্যে তৈরী করা হয়ে থাকে। যারা ডায়েট কন্ট্রোল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ -সচেতন তথ্য সম্পর্কে অবগত তারা জানেন মিল্ক শেক মূলত কেমন হয়ে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেই মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

পোস্ট সুচিপত্রঃ মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো হলঃ

মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা

মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। মিল্ক শেক হল একটি পানীয় জাতীয় খাবার। যেটি ছোট বড় সকলে খেতে খুবই পছন্দ করে। এটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যে কারণে মিল্কশেক সকলেই পছন্দ করেন। তবে মিল্ক সেকের উপকারিতা ও অপকারিতা নির্ভর করে কতটুকু পরিমাণে গ্রহণ করছেন তার ওপর।এই কোমল এবং অস্বাস্থকর পানীয় পান করার যুগে আপনি যদি নিজেকে সুস্থ ও ফিট রাখতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত মিল্ক শেক খেতে পারেন।কেননা মিল্ক শেক খুবি স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়।

মিল্ক শেক হল ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মিল্কশেক তৈরি হয় ফলের মিশ্রণে, যা শরীরের হার গঠনে সহায়তা করে। মিল্কশেক শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মিল্ক শেক হলো উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ। এটি শরীরের শক্তি এবং ক্লান্তির সময় সম্পূর্ণ এনার্জি প্রদান করে। এছাড়াও মিল্কশেক শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। মিল্কশেকে যেহেতু দুধ ও ফলের পুষ্টিগুণ রয়েছে তাই এটি ত্বক ও চুলের জন্য বেশ উপকারী।

মিল্কশেকে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। মিল শেখ তৈরীর সময় যদি অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করা হয় তাহলে ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে করে হৃদরোগে ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া ও যাদের শরীরে ল্যাকটোজ এর সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি খুবই সমস্যা দিতে পারে যেমন গ্যাস বা ডায়রিয়ার এবং হজমের সমস্যা। মিল্কশেকের উপকারিতা পেতে এবং অপকারিতা এড়াতে বাড়িতে মিল্কশেক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। বাড়িতে তৈরি মিল্কশেক স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

মিল্ক শেক তৈরিতে ভিটামিন সি জাতীয় ফল যোগ করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর তাই আমাদের উচিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল দিয়ে মিল্ক শেক তৈরী করা। এতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তাছাড়া মিল্কশেক যদি আপনি সঠিক উপাদান দিয়ে তৈরি করতে পারেন তাহলে এদেরও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে আপনি যদি বাড়িতে মিল্ক শিট তৈরি করেন তাহলে সেটি সব থেকে বেশি পুষ্টিকর ও নিরাপদ হবে।

বাড়িতে মিল্কশেক তৈরির জন্য কিছু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল নিবেন। যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। যেমন পেঁপে ও কলা এগুলোতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। দুধের সাথে মিশিয়ে পেঁপে ও কলার মিল্ক শিট তৈরি করতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মধু ও খেজুর ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, আইরন ও ফাইবার যারা শরীরে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।

মিল্ক শিট তৈরির জন্য বাদাম ও বীজ নিতে পারেন। এছাড়া আমন্ড বাঁচিয়া সিড মিশিয়ে মিল্ক শিপ তৈরি করতে পারেন। এর সাথে আপনি মসলা ও ব্যবহার করতে পারেন যেমন হলুদ, দারুচিনি ও এলাচ। এগুলোতে রয়েছে অ্যান্ড্রোক্সিডেন্ট, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার কার্যকরী ক্ষমতা। এগুলো শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে মিল্কশেক তৈরীর সময় অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলুন। কারণ এটির প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে।

মিল্ক শেক এর পুষ্টিগুন

মিল্ক শেক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। আর মিল্কশেকে অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে। এছাড়াও মিল্কশেকের পুষ্টিগুণ নির্ভর করে আপনি কিভাবে মিল্কসেকটি তৈরি করছেন তার ওপর। মিল্ক শেক তৈরীর সময় আপনি কি কি উপাদান ব্যবহার করবেন তার ওপর নির্ভর করবে মিল্কশীকের পুষ্টিগুণ। মিল শেখ সাধারণত দুধ, ফল, বাদাম, মধু, চিনি এবং কোন সময় হয় আইসক্রিম দিয়েও মিল্কশীক তৈরি করা যায়। 

আপনি যদি মিল শিখে অতিরিক্ত চিনি বা আইসক্রিম যোগ করেন তাহলে এতে ক্যালরির পরিমাণ বেশি হতে পারে। মিল্কশীকের পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল যোগ করতে হবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল হলে বেশি উপকারিতা আসবে। ফলের সাথে দুধ বাদাম এবং মধু মিশ্রিত করতে পারেন। এভাবে যদি আপনি সঠিক উপাদানে মিল্কশেক তৈরি করেন তাহলে এর পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে পারেন।মিল্ক শেক এর পুষ্টি উপাদান গুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ

  • সোডিয়াম -৯৫ মিলিগ্রাম 
  • পটাসিয়াম -১৮৩ মিলিগ্রাম 
  • কোলেস্টোরিল -১২ মিলিগ্রাম 
  • কালোরি -১১১. ৯ গ্রাম 
  • শর্করা -১৮ গ্রাম 
  • ফ্যাট -১. ৯ গ্রাম 
  • প্রোটিন -৩. ৯ গ্রাম 
  • সুগার -১৮ গ্রাম 
  • ক্যালসিয়াম -১৪% 
  • ম্যাগনেসিয়াম -৩%
  • ভিটামিন -১২%   

মিল্ক শেক শক্তি বৃদ্ধি করে

মিল্কশেক পান করার মাধ্যমে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি যোগান দেয়। মিল্কশেক একটি পানীয় জাতীয় খাবার। মিল্কশেকের মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় । মিল্ক থেকে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি পানীয় খাবার হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির মানুষ খেয়ে থাকে। তবে বাইরে কেনার থেকে ঘরে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করে মিল্ক শেক পান করে শরীরের জন্য ভালো। আর এই মিল্ক শেক শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

মিল্ক-শেকের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
মিল্কশেক যদি সঠিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় তাহলে এটি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। মিল্কশেক সাধারণত তৈরি হয় দুধ, ফল, চিনি ও মধু এবং কখনো কখনো প্রোটিন পাউডার দিয়েও তৈরি করা হয়ে থাকে। মিল্কশীকের মধ্যেই রয়েছে দুধ, ফল, চিনি, প্রোটিন পাউডার। দুধে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি যা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি ঘটে সহায়তা করে। এছাড়াও ফল ও মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি ও ফাইবার। এনার্জি বৃদ্ধির জন্য মধুতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। যেগুলো অতি দ্রুত শক্তি প্রদান করতে সাহায্য করে।

মিল্ক শেক ওজন বৃদ্ধি করে

মিল্ক শেক বিভিন্ন ধরণের পাওয়া যায়। তার মধ্যে রয়েছে, কলার মিল্ক শেক ও বাদমের মিল্ক শেক। কলার মিল্ক সেকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি,আন্টি অক্সিডান্টস। যা আমাদের পুষ্টির যোগান দেই। মিল্ক শেক আপনি যদি নিয়মিত পরিমানে গ্রহণ করেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনার শরীরে অনেক পরিমানে চিনি এবং কালোরি প্রবেশ করবে। যার কারণে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া আমির শেখে রয়েছে উচ্চ ক্যালোরি। যা অতি স্বাস্থ্যবান শরীরকে ওজন কমিয়ে সৌন্দর্য বার করে তুলতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই যারা ওজন কমাতে চায় তাদের জন্য সীমিত পরিমানে গ্রহণ করতে হবে।

দুধ চিনি মধু এবং ফল একসঙ্গে মিশিয়ে যে মিল্ক শিট তৈরি করা হয় দাঁতের রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ক্যালরি যা নিয়মিত গ্রহণ করার ফলে ওজন বাড়ে। এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যেমন প্রোটিন ও চর্বি, দুধ বা ফুল ফ্যাট মিল্ক এগুলোর মধ্যে বেশি পরিমাণে প্রোটিন ও চর্বি থাকে। মিল্কশীকে যদি অতিরিক্ত চিনি চকলেট সিরাপ বা মিষ্টি উপাদান যোগ করা হয় তাহলে এটি বৌদি ক্যালরি সম্পন্ন হয়। মিল্কশেক তৈরি করার জন্য এর সাথে পুষ্টিকর উপাদান যোগ করতে পারেন। যেমন দুধ, কলা, বাদাম, চিয়া সিড,পিনাট, বাটার ইত্যাদি।

মিল্ক শেক হার বৃদ্ধিতে কার্যকরী

মিল্কশেক হাড় বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে মিল্কশেক সরাসরি হাড়ের বৃদ্ধি করতে পারে না।এটি হাড়ের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কেননা মিল্ক শেক তৈরি করতে দুধ, ফল, বাদাম,মধু এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ব্যবহার করা হয়। এসব পুষ্টিকর উপাদান গুলো হারিয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, প্রোটিন,ফল ইত্যাদি হাড়ের জন্য বেশ উপকারী। দুধে রয়েছে ভিটামিন ডি যা ক্যালসিয়াম পনের সাহায্য করে এবং হাড় গঠনের ভূমিকা রাখে।

মিল্ক সিয়েট তৈরি করতে অবশ্যই ফল ও বাদাম এবং আরো বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান ব্যবহার করা উচিত। যেগুলো থেকে সম্পূর্ণ প্রোটিন পাওয়া যায়। কেননা প্রোটিন হাড়ের সম্পূর্ণ টিস্যু গঠনে সাহায্য করে এবং হাড়ের ক্ষতি থেকে রোধ করে। মিল্কশেদ শিশু ও কিশোরদের হাড় বৃদ্ধি করতে এবং বয়স্কদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করে। মিল্ক শেক তৈরি করার সময় অবশ্যই দুধ ব্যবহার করবেন। এছাড়াও মধু বা চিনি ব্যবহার করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করবেন না।

মিল্ক শেক হার্টের অবস্থা ভালো রাখে 

কমলা, স্ট্রোবেরি, দুধ ইত্যাদি খাবার গুলো ফাটি যুক্ত উপাদান। আর এগুলো একসাথে মিল্ক শেক করে নিয়মিত খেলে হার্টের অবস্থা ভালো থাকে। মিল্ক শেখ এমন একটি খাবার যা হার্টের অবস্থাকে পুনরায় ভালো রাখতে সাহায্য করে সব সময়। হার্টের অবস্থা যখন করুন পর্যায়ে চলে যায় তখন বেশি বেশি করে নিয়ম করে মিল্কশেক পান করাটা উচিত। আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আমাদের হাটের অবস্থা ভালো রাখাটা প্রয়োজন। আর সেই জন্য অবশ্যই নিয়ম করে মিল্ক খেতে হবে। 

 মিল্কশেক হার্টের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। হার্টের রোগীর জন্য মিলছে একটি কার্যকরী উপাদান। কেননা মিলছে তৈরি হয় বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে। স্বাস্থ্যকর উপায়ে যদি নিষেধ তৈরি করা হয় তাহলে সেটি হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী এবং ভালো রাখে। তবে অবশ্যই মিলছে তৈরির জন্য অতিরিক্ত চিনি বা মধু ব্যবহার এড়িয়ে যেতে হবে। মিল শেখ সাধারণত তৈরি করা হয় দুধ বাদাম ফল ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান ব্যবহার করে। এসব পুষ্টিকর উপাদানের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রয়েছে।

 এসব পুষ্টিকর উপাদান গুলো হার্টের রোগীর জন্য বেশ কার্যকরী। কেননা এগুলো হার্টকে ভালো রাখে এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মিল্ক তৈরি করতে হবে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান দিয়ে। যেমন লিফেক্ট দুধ অর্থাৎ বাদামের দুধ ব্যবহার করতে হবে। চিনি বা মধু ব্যবহার করে মিল্কশীকে মিষ্টি তৈরি করতে হবে। খাইবা ওমেগা তিন এসিড এছাড়াও চিয়া বীজ জোর করতে পারেন। আরো বেশি পুষ্টির জন্য এর সাথে পুষ্টিকর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল মূল যোগ করতে পারেন যেগুলো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এভাবে মিল্কশেক তৈরি করে হাতে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

মিল্কশেক মস্তিকের অবস্থা ভালো রাখে

মিল্ক শেক এ রয়েছে বিভিন্ন আন্টি অক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। রে কারণে মস্তিকের ওপরে ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পরে না। এর জন্য ফ্রুট মিল্ক শেক খেতে পারেন। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অবস্থা ভালো রাখার জন্য মিল শেখ খুবই কার্যকরী একটি পানীয় খাবার। মিল্কশেক নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের অবস্থা ভালো রাখে। মস্তিষ্কের অবস্থা ভালো রাখার জন্য নিয়মিত মিল্ক শেক খাওয়া খুবই প্রয়োজন। 

মিল্কশেক যদি সঠিক ভাবে তৈরি করা হয় তাহলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। মিল্কশীকে রয়েছে প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, গ্লুকোজ, ওমেগা ৩ এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ। এসব উপাদানগুলো যদি মিল্ক শিটের মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে মস্তিষ্কের অবস্থা ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে মিল্ক সেক তৈরি করার জন্য বাদামের দুধ ব্যবহার করা যায়। ফল, মধু,খেজুর, সিয়া বীজ এবং চকলেট ব্যবহার করা যায়। এগুলো সঠিক পরিমাণে ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিল্কশীক অনেক বেশি পুষ্টিতে ভরপুর হয়ে যায়।

কার্বোহাইড্রেট এর অভাব দূর করে থাকে

মিল্ক শেক তৈরিতে যেই চিনির প্রয়োজন হয় সেটা কার্বোহাইড্রেট দূর করতে সাহায্য করে। মিল্ক সেকে যে পরিমিত পরিমানে চিনি ব্যবহার করা হয় টা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই নিয়মিত মিল্ক শেক খাওয়া উচিত। আমাদের শরীরের যখন রয়ে যায় তখন নিয়ম করে বাসায় তৈরি করে খাওয়াটা প্রয়োজন।
মিল্ক-শেকের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

মিল্ক শেক খাওয়াতে যেমন উপকার রয়েছে তেমনি অপকারিতা ও আছে। মিল্ক শেক সেবন করার আগে অবশ্যই এর অপকারিতা ও জেনে নিতে হবে। মিল্ক শেখ আমাদের শরীরে উপকারের তুলনায় অপকারও করে তাই শরীরের কোনটা উপকার করবে এবং কোনটা উপকার করবেন না সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। মিল্কশেক এমন একটি খাবার যেটা অতিমাত্রায় খেলে শরীরে উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কি কি ক্ষতি হতে পারে সেগুলো জেনে নিনঃ 

  • ত্বকে এলার্জি সমস্যা হতে পারে।
  • ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে।
  • পেতে গ্যাস এর সমস্যা হতে পারে।
  • হজমের সমস্যা হতে পারে।
  • পেতে ব্যাথা হতে পারে। 
  • ডায়াবেটিস হতে পারে। এবং
  • কোলেস্ট্রল এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম 

মিল্ক শেক কে আসলে বিভিন্ন পদ্ধতি এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাদের পানীয় হিসেবে তৈরী করা যায়। খুব সহজে ঘরোয়া উপায়ে বানানো যায় এমন কিছু মিল্ক শেক রেসিপি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ 

চকোলেট মিল্ক শেক 

চকোলেট মিল্ক শেক বাচ্চাদের জন্য বেশ উপযোগী। বাচ্চারা সবসময় মুখরচক খাবারের দিকে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। তাই আপনি চাইলে এই মিল্ক শেক টি বানাতে পারেন। এই মিল্ক শেকটি বানাতে যা যা লাগবেঃ

  • কারামেল আইসক্রিম ক্রিম 
  • 2 কাপ পরিমান সাধারণ দুধ 
  • 3 চা চামচ ভ্যানিলা ফ্লেভার 
  • ১টি কলা 
  • ২ চা চামচ যেকোনো লিকুইড চকলেট
এবারে সব উপকরণ হালকা পানির সাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। আর কারামেল আইসক্রিম যেকোনো সুপার শপে গেলেই পেয়ে যাবেন। এর পর বানিয়ে ফেলুন চকলেট মিল্ক শেক।

খেজুরের মিল্ক শেক

খেজুর যা প্রতিটি রান্না ঘরেই এখন বর্তমানে পাওয়া যায়। তাই হাতের কাছে থাকা এই স্বাস্থ্যকোর ফলটির সাহায্যে ও তৈরী করতে পারেন খেজুরের মিল্ক শেক। এই মিল্ক শেকটি তৈরী করতে কি কি লাগে চলুন দেখে নেওয়া যাকঃ

  • দানা ফেলে দিয়ে ৪ কাপ খেজুর নিন।
  • ২ চা মচ চিনি নিন।
  • ৭২০ মিলিগ্রামের মতো ফ্রেশ দুধ নিন।
  • ১ কাপ পরিমান আইস কিউপ নিন।
এবার সব উপকরণ একসাথে ভালোমত মিশিয়ে ইচ্ছে মতো ডিজাইন করে পরিবেশন করুন। আপনি চাইলে এই মিল্ক শেক এ চিনির পরিবর্তন করতে পারেন। কারণ এই মিল্ক শেক এ খেজুর দেওয়া হয়েছে যেটাতে চিনির পরিমান রয়েছে যথেষ্ট পরিমানে। এইভাবেই বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার খেজুরের মিল্ক শেক।

কিছু কথাঃ মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা 

মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারিতা এর নিয়ম মেনে বিভিন্ন স্বাদের মিল্ক শেক পান করতে পারেন। বাজারের কোমল পানীয় কে না বলুন। এসব পানীয় বিভিন্ন তৈরির বাজে প্রক্রিয়া জন্য হলেও আপনার আমার এসব পানীয় বর্জন করা উচিত। মিল্ক শেক একটি ভালো ধারণা নিয়ে নিজেরাই ঘরোয়া ভাবে তৈরী করে সেবন করতে পারবেন। এইরকম আরও স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url